Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রয়টার্সের রিপোর্ট: বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় প্রার্থী হওয়ার ঝুঁকি...

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৫ পিএম

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি ছোট জেলা আদালতের লাইব্রেরির মধ্যে বসে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার গায়ের কোট খুলে পিঠে ব্যান্ডেজে ঢাকা বেশ কয়েকটি শটগান পেলেগের আঘাত দেখালেন। এরপর ৬২ বছর বয়সী এ ব্যক্তি হেসে বললেন, আপনি ভাবছেন আমার লড়াই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু না, আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমার লড়াই পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে।
রোববারের নির্বাচনে তিনি প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি দাবি করেন, গত ১৫ই ডিসেম্বর নোয়াখালীর একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেছে। এ সময় তিনি তার শত শত সমর্থক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। হামলায় তার আরো প্রায় ৪০ সমর্থক আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ উচ্চ আদালত বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে। এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ নির্বাচন কর্মকর্তা এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। পুলিশ, সরকার এবং আওয়ামী লীগও বিরোধীদলের তোলা ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করছে। তারা বলছে, নির্বাচন প্রচারণাকালীন সময় ছিল নিরপেক্ষ।
মাহবুব উদ্দিন খোকন রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সোনাইমুড়ি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫ই ডিসেম্বর এখানেই সেই রক্তাক্ত সহিংসতা হয়েছিল। এ ঘটনার পর তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে নির্দিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তা, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অবিলম্বে ওই এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেন এবং সহসাই সে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একটি পেলেট তার থুঁতনিতে আঘাত করে। পিঠে আঘাত করে ৫টি এবং পায়ে আঘাত করে আরো দুইটি পেলেট। সেখানে আরো দাবি করা হয়েছে, অবৈধভাবে পুলিশের গুলিতে আরো ৪০ বিরোধীদলীয় সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে।
দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার তন্ময় দাস বলেছেন, খোকন অতিরঞ্জিত অভিযোগ করছে। হামলাকারী পুলিশ সদস্য নয়। হয়ত অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে তার দলেরই কেউ এ হামলা করেছে। এ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ. এম. ইব্রাহীমও এ বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে কিছু সহিংসতা স্বাভাবিক বিষয়। ওইদিনই খোকনের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে। তিনি একজন আইনজীবী, তিনি মানুষদের বোকা বানাচ্ছেন। তার নিজ দলীয় কর্মীরাই তাকে গুলি করেছে।
তন্ময় দাস বলেছেন, এ নিয়ে একটি তদন্ত চলছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আমার মনে হয় এখানকার পরিস্থিতি ভালো। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। তিনি আরো জানান যে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কোথাও ভীতি প্রদর্শন কিংবা হামলা করেছে এমন কোনো অভিযোগ তার কাছে আসে নি। এরপর ৬২ বছর বয়সী এ ব্যক্তি হেসে বললেন, আপনি ভাবছেন আমার লড়াই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু না, আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়ছি না। আমার লড়াই পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে।
রোববারের নির্বাচনে তিনি প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি দাবি করেন, গত ১৫ই ডিসেম্বর নোয়াখালীর একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেছে। এ সময় তিনি তার শত শত সমর্থক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। হামলায় তার আরো প্রায় ৪০ সমর্থক আহত হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ আদালত বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে।
এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ নির্বাচন কর্মকর্তা এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। পুলিশ, সরকার এবং আওয়ামী লীগও বিরোধীদলের তোলা ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করছে। তারা বলছে, নির্বাচন প্রচারণাকালীন সময় ছিল নিরপেক্ষ।
মাহবুব উদ্দিন খোকন রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সোনাইমুড়ি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫ই ডিসেম্বর এখানেই সেই রক্তাক্ত সহিংসতা হয়েছিল। এ ঘটনার পর তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে নির্দিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তা, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অবিলম্বে ওই এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেন এবং সহসাই সে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। একটি পেলেট তার থুঁতনিতে আঘাত করে। পিঠে আঘাত করে ৫টি এবং পায়ে আঘাত করে আরো দুইটি পেলেট। সেখানে আরো দাবি করা হয়েছে, অবৈধভাবে পুলিশের গুলিতে আরো ৪০ বিরোধীদলীয় সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে।

দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার তন্ময় দাস বলেছেন, খোকন অতিরঞ্জিত অভিযোগ করছে। হামলাকারী পুলিশ সদস্য নয়। হয়ত অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে তার দলেরই কেউ এ হামলা করেছে। এ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ. এম. ইব্রাহীমও এ বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে কিছু সহিংসতা স্বাভাবিক বিষয়। ওইদিনই খোকনের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে। তিনি একজন আইনজীবী, তিনি মানুষদের বোকা বানাচ্ছেন। তার নিজ দলীয় কর্মীরাই তাকে গুলি করেছে।
তন্ময় দাস বলেছেন, এ নিয়ে একটি তদন্ত চলছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আমার মনে হয় এখানকার পরিস্থিতি ভালো। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। তিনি আরো জানান যে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কোথাও ভীতি প্রদর্শন কিংবা হামলা করেছে এমন কোনো অভিযোগ তার কাছে আসে নি।



 

Show all comments
  • S.M Nazrul Islam ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২২ পিএম says : 0
    নামটা তন্ময় দাস না হয়ে দলদাস হলে মানাবে ভাল।
    Total Reply(0) Reply
  • রুবেল ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৪২ পিএম says : 0
    এমোন কোনো ইতিহাসে নাই যে দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে! বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার প্রতিটিতেই জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীনেরা। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবো গুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্রই একই।দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা বোকামী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ