Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে যান : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

৩০ ডিসেম্বর সকল প্রকার হুমকি-ধামকি, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলে-দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার দিন বলে জানিয়েছে বিএনপি। এজন্য ওই দিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার দেশের মুক্তিকামী জনতা, ধানের শীষের সমর্থক ও সকল ভোটারদের প্রতি বিএনপির এক বিবৃতিতে এই আহবান জানানো হয়। 

রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আপনাদের একেকটি ভোটই নিশ্চিত করতে পারে নিরাপদ ও শান্তির বাংলাদেশ। মুক্ত করতে পারে ‘গণতন্ত্রের মা’ কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। ভোট দিয়ে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করবেন না। ভোটের ফল বুঝে নিয়ে বিজয়ের বেশে তবেই ঘরে ফিরবেন। ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করুন। দুর্বৃত্তরা যেন কোন সুযোগ না পায়।
বিএনপির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুঃশাসনের শেকলে বন্দী বাংলাদেশে আর একদিন পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে। আজ আপনার হাতে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে স্বৈরশাসকদের হাত থেকে মুক্তিলাভের। দেশকে মুক্ত করার। ভোটার ও আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী জনগণের প্রতি আহবান-আসুন, জেগে উঠুন কোটি-কোটি দেশপ্রেমিক সূর্য-সন্তান। তাহলেই রচিত হবে নতুন ইতিহাস। বিষাদ ঘনঘোর কাটিয়ে ৩০ ডিসেম্বরে উঠবে গণতন্ত্রের নতুন সূর্য। আপনারা যদি বীরদর্পে বেরিয়ে আসেন তাহলে হাজারও ভোটারের ভিড়ে গুটিকয়েক লোক কোনোভাবেই আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। সুতরাং আত্মবিশ্বাস রাখুন, সাড়ে দশ কোটি ভোটারের এই শক্তিকে কেউ কোনোভাবে রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ ভীতু নয়। দুর্বার, সাহসী ও দুর্জয়। যার প্রমাণ আপনারা দিয়েছেন বারবার, বহুবার, প্রতিবার। এবারও এসেছে সেই চ‚ড়ান্ত সময়।
সকলের প্রতি ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান রেখে বলা হয়, ধানের শীষ প্রতীক মুক্তির প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, মুক্তিযাদ্ধাদের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, আবেগ ও প্রত্যাশার প্রতীক, উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতীক, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক, আপনার প্রতীক এবং দুঃশাসন থেকে মুক্তির প্রতীক। এই নির্বাচন দেশের মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ। আমাদের হাতে গণতন্ত্রের, শান্তির, স্বাধীনতার পতাকা আর তাদের হাতে দুঃশাসনের খড়গ কৃপান। তাই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আপনারা ভোট দিতে আসবেন। ভোট কেন্দ্রে আপনাদের আগমনে নীরবে ভোট বিপ্লব ঘটবে। দেশের মালিকানা বুঝে নিতে আপনার রায় দিতে ভোটকেন্দ্রে আসুন। সবাই মিলে ভোট পাহারা দিন। বিজয়ের এই মাসে দেশের কল্যাণে ভোট রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিএনপির আহবানে বলা হয়, আপনারা দেশের সন্তান। অন্তত একটা দিন দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ নিদর্শন প্রদর্শন করুন। দেশের প্রতিও আপনাদের দায়িত্ব আছে। এতদিন সরকারের চাপে যা করেছেন এখন সময় এসেছে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের। দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সহযোগিতা করুন। দেশ আপনাদের অবদান স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধে সশরীরে লড়াই করেছিল ৫ লাখ তরুণ। আর আমাদের এখন আছে প্রায় আড়াই কোটি তরুণ ভোটার! আমাদের আছে প্রায় সাড়ে ১০কোটি ভোটার। আমাদের আছে গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ আর সংগ্রামী গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য। আমাদের আছে ১৬ কোটি জনগণ। এত বড় আবাবিল বাহিনীর সামনে আবরাহাদের হস্তী বাহিনী কী করতে পারবে ? জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তির কাছে স্বৈরশাহীর সকল অস্ত্রই অকার্যকর প্রমাণিত হবে, ইনশাআল্লাহ।”



 

Show all comments
  • Sharif Ahmed ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৯ এএম says : 0
    ✌✌সব বাধা পেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে আপনার ভোট আপনি দিবেন । কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না ✊✊ আল্লাহর সাহায্য আসবেই ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Mizanur Rahaman ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    ৩০ তারিখ পর্যন্ত মানুষের ধৈষ, সঠিক সমাধান না আসলে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। কারণ আমরা ৮০% সরকার পরিবর্তনের পক্ষে।
    Total Reply(0) Reply
  • ফোরকান উদ্দীন চৌধুরী ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২১ এএম says : 0
    ভোটারদের অভয় দিন। জামায়াত বিএনপি চারিদিকে অপপ্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে ব্যার্থ প্রমান করতে চায়। একদিকে তারা ভোটারদেরকে মারামারি - হানাহানির ভয় দেখাচ্ছে। আবার অন্যদিকে বলছে, "ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাভ কি? ভোট তো আগেই দিয়ে দেবে।" আপনি ভোটের মালিক। আপনি অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হলে জিতে যাবে স্বাধীনতা বিরোধীরা। যেকোনভাবে এই অপশক্তিকে রুখে দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • ফোরকান উদ্দীন চৌধুরী ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৪ এএম says : 0
    ৩০ তারিখ সকলকে জেগে উঠতেই হবে নতুবা কত বছরের গোলামি বরণ করতে হবে আল্লাহই ভালো জানেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Zulfiqar Ahmed ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৪ এএম says : 0
    সবাই ভোটারদের সাহস দিয়ে কেন্দ্রে নিয়ে আসুন। বিপ্লব ঘটানোর জন্য একটি দিনই যথেষ্ট।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ali khan ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৫ এএম says : 0
    Yes, I also think so that
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ali khan ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৬ এএম says : 0
    ইনশায়াল্লাহ বিজয় হবে বাংলাদেশের, বিজয় হবে গণতন্ত্রের-দেশের জনগণের।
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৬ এএম says : 0
    ৩০ তারিখ দেখিয়ে দেবে বাংলার জনগণ, ভোট বিপ্লব কাকে বলে, কত প্রকার কি কি?
    Total Reply(0) Reply
  • সাব্বির ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৮ এএম says : 0
    বিজয়ের এই মাসে দেশের কল্যাণে ভোট রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
    Total Reply(0) Reply
  • মিলন খন্দকার ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৪ পিএম says : 0
    এই অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের পাশে জনগণকে দাঁড়াতে হবে। কারণ এটা তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
    Total Reply(0) Reply
  • তুষার ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৬ পিএম says : 0
    বিষাদ ঘনঘোর কাটিয়ে ৩০ ডিসেম্বরে উঠবে গণতন্ত্রের নতুন সূর্য। আপনারা যদি বীরদর্পে বেরিয়ে আসেন তাহলে হাজারও ভোটারের ভিড়ে গুটিকয়েক লোক কোনোভাবেই আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • রুবেল ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৩ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার প্রতিটিতেই জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীনেরা। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চিত্রই এক। দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা বোকামী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ