পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনি জটিলতার কারণে প্রার্থী শূন্য হয়ে যাওয়া আসনগুলোতে স্থানীয়ভাবে বিকল্প প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আদালতের নির্দেশে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির ১৬-১৮টি আসন প্রার্থী শূন্য হয়ে যায়। বিকল্পভাবে অন্য দল, স্বতন্ত্র, সমমনাদের সমর্থন দিয়ে তা পূরণ করছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো ফাঁকা থাকবে না। সব আসনে আমরা জোটের বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছি। তিনি বলেন, বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট কিংবা স্বতন্ত্র বাম আদর্শের যারা প্রার্থী আছেন তাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছি। কাজেই কোনো আসন শূন্য থাকছে না।
ঢাকা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন খন্দকার আবু আশফাক। উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে আইনি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে গেছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। ঋণখেলাপির কারণে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খান রীতার মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে। সেখানে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সাবেক এমপি মফিজুল ইসলাম খান কামালকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপি ফজলুর রহমানকে ধানের শীষের প্রার্থী মনোনীত করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ আদালতে তারও প্রার্থিতা স্থগিত হয়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগমকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। জামালপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন রশিদুজ্জামান মিল্লাত। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওই আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গণফোরামের ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হককে বিএনপির সমর্থন দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন এম এ হান্নান। কিন্তু উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে যায় তার। সেখানে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী লায়ন হারুন অর রশীদকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েও তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়। সেখানে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে মুকাব্বির খানকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন মোরশেদ মিল্টন। উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করার জটিলতায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। নাটোর-১ আসনে আইনি জটিলতায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল হয়। সেখানে বিএনপির শিরিন আক্তার ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন, রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন আবু সাইদ চাঁদ।
উপজেলা চেয়ারম্যান জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ওই আসনে বিএনপি প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে। ওই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীও নেই। তাই ওই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন বা ইসলামী আন্দোলনের ‘হাতপাখা’ প্রতীকের প্রার্থী বাবুল ইসলাম যে কাউকে দেবে বিএনপি, ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন আবদুল মজিদ। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। ওই আসনে বিএনপি, ২০ দল বা ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী নেই। সেখানে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের আসাদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ফখরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির আবু তালেব সেলিম প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে বাসদের প্রার্থী আসাদুল ইসলামকে বিএনপি সমর্থন দিতে পারে, বগুড়া-৩ আসনে ধানের শীষের আবদুল মহিত তালুকদারের জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন (আপেল) এবং আবদুল মজিদের (ডাব) মধ্যে কোনো একজনকে সমর্থন দেয়ার কথা বিএনপির, ঢাকা-২০ আসনে ধানের শীষের তমিজউদ্দিনের জায়গায় বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। এই আসনটিতে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির এম এ মান্নান তারা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাকেই সমর্থন দেবে ঐক্যফ্রন্ট। রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফার পরিবর্তে, বিএনপির অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে, নওগাঁ-১ আসনে সালেক চৌধুরীর পরিবর্তে বিএনপির আরেক প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের হাতেই শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীক থাকছে। আইনি জটিলতায় মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ কবীর জিন্নাহর পরিবর্তে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।