পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক কৌশলে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু। পরপর দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জনের ধারাবাহিকতায় এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নিশ্চিত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন। জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্তির পর রাজনীতিতে এসে একের পর এক সাফল্য তাকে নরসিংদী জনগণের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। তিনি একাধারে যেমন দলের ভিতরে প্রতিপক্ষহীন, তেমনি রাজনৈতিক মাঠেও তিনি ক্রমান্বয়ে প্রায় প্রতিপক্ষহীন হয়ে উঠছেন।
অব্যাহত সাফল্যের কারণে তা রাজনৈতিক অনুসারীরা বলছেন, তিনি শুধু নামে হিরু নন, কামেও হিরু। সমরবিদ হিসেবে তিনি বীর প্রতীক খেতাব গ্রহণ করে তার নামের সার্থকতা প্রমাণ করেছেন। নরসিংদী রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত নেতৃত্ব গ্রহণ করে তিনি তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ‘ভজকট’ অবস্থায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একজন শক্তিশালী প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন ছিল তার এক বিরাট সাফল্য। এমপি নির্বাচিত হবার মাত্র তিন বছরের মাথায় নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যাকান্ডে সৃষ্ট দলীয় সঙ্কট মোকাবেলা ছিল তার দ্বিতীয় সাফল্য। তার এই সফলতা পরবর্তীতে তাকে আরেকটি বিশাল সফলতা এনে দেয়। সেটি হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কৌশলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ লাভ করা।
তৎকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতারাও তার নিকট পরাস্ত হয়ে যান। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী সদর আসন থেকে নির্বাচিত হবার পর সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পদ লাভের মাধ্যমে তিনি সাফল্যের প্রায় চ‚ড়ান্ত সীমায় চলে যান। মন্ত্রিত্ব লাভের পর একদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও অপরদিকে দলীয় সংগঠন, এই দুয়ের ওপর একছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। তার দলীয় ও নির্দলীয় অনুসারীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাকে সফল সমরনায়ক এবং সফল রাজনীতিক হিসেবে আখ্যায়িত করে।
মন্ত্রীত্ব লাভের পূর্বাপর সময়ে তিনি নরসিংদীর উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হয়েছেন। দলের ভিতর সৃষ্টি হয়েছে তার বিশাল কর্মীবাহিনী। তার এই বিশাল কর্মীবাহিনী এখন নির্বাচনের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এবারে নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় তিনি ব্যাপক চমক সৃষ্টি করেছেন এই কোন বাহিনী নিয়ে। নরসিংদী সদর আসনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম হিরুর মূল প্রতিদ্ব›দ্বী হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী খায়রুল কবির খোকন। রাজনীতিক হিসেবে নব্বইয়ের গণ আন্দোলনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও নরসিংদী রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেননি।
নরসিংদী জেলা বিএনপির পুরনো রাজনীতিকদের মতে, বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। সৃষ্টি করতে পারেননি ঝুঁকি বহনকারী কোন কর্মীবাহিনী। যাদের নামে বিএনপি পরিচিত এবং যারা বিএনপির নামে পরিচিত নেতা তারা অনেকেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। যেসব নেতৃত্তের কথায় সমাজের ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন তাদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক শৈথিল্য। নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কোন সভা-সমাবেশ করতে পারেনি জেলা বিএনপি। যেসব বাহিনী মাঠে ময়দানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাদের প্রতিও কোন সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি দলের নেতৃত্ব। যে কারণে খায়রুল কবির খোকন কারাবন্দী হবার পর একটি মিছিল হয়নি। একটি সভা-সমাবেশ ঘটেনি। গায়েবি মামলার আসামি হয়ে সবাই পলাতক অবস্থায় বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। আন্দোলনের মাঠে তারা কোন কৌশলও অবলম্বন করতে পারিনি।
নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোন কাজ করতে পারেনি। খায়রুল কবির খোকনের অনুপস্থিতিতে মাঠে কাজ করার মত কোন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে যাওয়ার মত কোন নেতার দেখা পায়নি বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। খোকনের অনুপস্থিতিতে তার সহধর্মিনী শিরিন সুলতানা কিছুদিন মাঠে গেরিলা পদ্ধতিতে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। কি অবস্থা টের পেয়ে পুলিশ তাকে বাসায় খোঁজাখুঁজি করার পর তিনি ও নরসিংদীতে আসা ছেড়ে দিয়েছেন। মাঠ একেবারেই খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বরের পর থেকে একটি উঠান বৈঠক হয়নি। একটি মিছিল হয়নি। হয়নি একটি শ্লোগানও।
কিছু কিছু নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী নিজ নিজ দায়িত্বে যার যার এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে কিছু কিছু প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে ধানের শীষ জাতীয় প্রতীক।
গ্রামে গঞ্জে সকল শ্রেণী-পেশার সফল ভোটাররাই ধানের শীষের সাথে পরিচিত। ভোটারদের মধ্যে ৬০ ভাগই ধানের শীষ সমর্থক। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে এই চরম প্রতিকূল অবস্থায়ও ধানের শীষ জয়ী হবে বলে তাদের ধারণা। আর আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ভোটের দিন এটাই বিএনপি একমাত্র পুঁজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।