পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লিতে পালিত হল ভারতের ৬৭তম প্রজাতন্ত্র দিবস। এ উপলক্ষে রাজপথে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ। প্রথমেই রাজপথে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর হামিদ আনসারিসহ বিশিষ্ট অতিথিরা। সকলকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই গাড়িতে রাইসিনা হিলস থেকে রাজপথে আসেন ওলাদ। তাদেরকেও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। কুচকাওয়াজ দেখতে সকাল থেকেই রাজপথে ভিড় করেন উৎসাহী মানুষজন।
বিভিন্ন সংস্থা আর রাজ্যের ট্যাবলো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, শত্রুপক্ষের হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, সেনাবাহিনীর ভা-ারে কী কী অস্ত্র মজুত রয়েছে, তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে একটা ধারণা তৈরি করা। তার জন্যই এ বছর প্রদর্শিত হল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী টি নাইনটি ট্যাঙ্ক ভীস্ম। ছিল পদাতিক বাহিনীর কমব্যাট যান বিএমপি টু শরথ। এছাড়াও ছিল ব্রহ্ম এবং আকাশের মতো ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপনকারী সমরযান। বিমান বাহিনী তুলে ধরে তাদের সি-১৭ গ্লোব মাস্টার, সি-১৩০ হারকিউলিস এবং এমআই-১৭ভি৫ যুদ্ধবিমান। এই বিমানগুলো উত্তরাখ-, জম্মু ও কাশ্মীর, ইয়েমেন এবং নেপালে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হয়। নৌসেনা দেখালো তাদের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান বহনকারী নির্মীয়মাণ যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তের মডেল। এছাড়াও ছিল সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সাবমেরিন কলভারির মডেল। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিল ফরাসি সেনার ৭৬ জন সদস্যের একটি দল। নেতৃত্বে ছিলেন ফ্রেঞ্চ সামরিক ব্যান্ডের আটচল্লিশজন সঙ্গীত শিল্পী। এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নিলো কোনো বিদেশি সেনাবাহিনী। এছাড়াও এবারের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াডের প্যারেড। ছাব্বিশ বছর পর ফের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হয় ডগ স্কোয়াড। আর ছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উট স্কোয়াড। নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি কমাডেন্ট কুলদীপ জে চৌধুরী। এবারই প্রথম ছাব্বিশে জানুয়ারির অনুষ্ঠানে ট্যাবলো নামালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা। সূত্র : জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।