Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর আশঙ্কা

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে সরকারী দলের সদস্যদের বিষোদ্গার

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২৮ পিএম, ৭ মে, ২০১৬

মোবায়েদুর রহমান : গত ৫ মে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ১৯১৪ সালে পার্লামেন্টে পাশ করা ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। অবশ্য এই রায়ই চূড়ান্ত নয়। সরকার পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করেছে যে তাঁরা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবেন। এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম ঘোষণা করেছেন যে, হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি ইতোমধ্যেই তাঁরা সংগ্রহ করেছেন এবং আগামী রোববার ৮ মে চেম্বার জজের আদালতে হাইকোর্টের অর্ডার বাতিলের স্থগিতাদেশ চেয়ে তাঁদের আপিল দাখিল করবেন।
এটি একটি আইনী প্রক্রিয়া। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। চূড়ান্ত বিচারে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে কি থাকবে না সেটি একমাত্র ভবিষ্যতই বলতে পারে। কিন্তু হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে সরকারী দলের এক শ্রেণীর সদস্য হাইকোর্টের বিরুদ্ধে যে বিষোদ্গার করেছেন সেটি আর সাধারণ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তাদের বক্তব্যে ছিল প্রচ্ছন্ন হুমকি-ধামকি এবং সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের ওপর এক ধরনের প্রচ- চাপ। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা বিচারপতি গণকে হুমকি-ধামকি দেয়া এবং তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পার্লামেন্টকেই ফোরাম হিসাবে বেছে নিয়েছেন। কথায় বলে, রাজার সাত খুন মাফ। পার্লামেন্টারি ইম্মিউনিটি বলে একটি কথা আছে। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট তথা এসব কোর্টের বিচারপতিদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য তথা এসব আদালতের রায় সম্পর্কে বাঁকা উক্তি করলে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়। কিন্তু জাতীয় সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে আপনি যা কিছুই বলুন না কেন, সব কিছুই মাফ। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ দলীয় এক শ্রেণীর সংসদ সদস্য। গত ৫  মে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আদালতের রায় শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। হাইকোর্টের বিচারপতিদের কাছে আজ আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। অথচ আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে অনেকে বিচারপতি হয়েছেন।
শেখ সেলিম বলেন, সংবিধান বলে দিয়েছে, জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। আমরা জনগণের প্রতিনিধি। বিচারপতিদের মন গড়া রায় দেখে অবাক হয়েছি। এ রায় সংসদকে অকার্যকর করার শামিল। ১৯৭২-এর সংবিধানের দাঁড়ি, কমা বাতিল করার অধিকার কারও নেই। বিচারপতিরা যদি ভাবেন তারা আইনের ঊর্ধ্বে তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করবেন তারা। এই বিচারপতিদেরও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা কে কোথা থেকে এসে ওখানে বসেছেন তা জানা আছে।
এর আগে ফখরুল ইমাম বলেন, রাষ্ট্রের রয়েছে তিনটি অর্গান। এগুলো হলো, আইনসভা, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ। আইনসভা থেকে আমরা আইন তৈরি করি এবং কার কত পাওয়ার নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় হচ্ছে, কিছুদিন আগে ষোড়শ সংশোধনী আইন ২০১৪ নামে যে আইনটি পাস করলাম, যেটা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে, হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি কোর্ট এটা অবৈধ ঘোষণা করেছে। তাহলে আমরা যে আইনটি পাস করি, সেটি কি অবৈধ আইন হয়? হাইকোর্টের এখতিয়ার কতটুকু? এটা আমাদের জানার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, মার্শাল ল’র সময় জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছাড়া বিচারপতিদের অপসারণ করা যেত না। এই বিচারপতিরাই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করল, মার্শাল ল’র সব বাতিল করল অথচ জুডিশিয়াল কাউন্সিল রেখে দিল। এভাবে আমাদের পাস করা আইন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগে দুই মন্ত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে। তাহলে আমাদের সম্মান থাকে না। এ বিষয়ে তিনি আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা চান। মইনুদ্দিন খান বাদল বলেন, আমাদের সম্মান নিয়ে আদালত ছিনিমিনি খেলতে পারে না। উত্তরে আইন মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের এই রায় সংবিধান পরিপন্থী।
সংসদীয় ইম্মিউনিটি শর্তহীন নয়
সংবিধানের ৭৮ অনুচ্ছেদ বলে জাতীয় সংসদের সদস্যরা যা বলবেন সেটিকে আদালতের দায় মুক্তি দেয়া হলেও কার্যপ্রণালী বিধির ২৭০ ধারায় এই অধিকারকে সীমিত করা হয়েছে। কার্যপ্রণালী বিধির ২৭০ ধারায় বলা হয়েছে যে, সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে এমন কিছু বলতে পারবেন না যেটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, হাই কোর্টের বিরুদ্ধে মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর সংসদ সদস্যের বিষোদ্গার সংবিধানসম্মত নয়। হাইকোর্ট বা সুুপ্রিম কোর্টের রায় সকলের বেলায় সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর নয়, তাই সেটি বেআইনী এবং তাদের জন্য সুখকর, তাই সেটি আইনী, এমন ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আইনের ক্ষেত্রে চলে না।
আওয়ামী লীগের সরব প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময়
আইন মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা যে সরব প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেটা দেখে সচেতন মানুষ হতবাক হয়ে গেছেন। কারণ অতীতে উচ্চ আদালতই সংবিধানের ৫ম, ৭ম এবং ১৩তম সংশোধনী বাতিল করেছে। তখন আওয়ামী লীগকে টুঁ শব্দ করতে দেখা যায়নি। বরং ৫ম সংশোধনী বাতিলের সূত্র ধরেই ৭২-এর সংবিধানের কতিপয় বিধান ষোড়শ সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নের অজুহাত হিসাবে খাড়া করা হয়েছে আদালতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলকে। আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেছিল বলেই আওয়ামী লীগ পঞ্চদশ সংশোধনী আনতে পেরেছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর ভিত্তিতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেই আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। বস্তুত আগের ৩টি সংবিধান সংশোধনী আদালত বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানিয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিই সর্ব প্রথম হাইকোর্টে বাতিল হয় এবং ঐ সব বাতিলকে আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানায়। এবারই সর্ব প্রথম আওয়ামী লীগ সেই একই উচ্চ আদালতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের কঠোর সমালোচনা করল। যে ভাষায় উচ্চ আদালতকে জাতীয় সংসদে সমালোচনা করা হয়েছে তার ফলে আশঙ্কা হয় যে, দলটি রাষ্ট্রের ২টি অর্গান অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে কিনা। আইন মন্ত্রী নিজেই যেখানে বলেছেন যে, তারা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন, সেখানে সেই একই আইন মন্ত্রী হাইকোর্টের রায়কে সংবিধান পরিপন্থী বলেন কিভাবে? এই ধরনের মারাত্মক মন্তব্য করার আগে আপিল বিভাগে রায়ের জন্য তার অপেক্ষা করা উচিত ছিল।
উচ্চ আদালতের এখতিয়ার
আওয়ামী লীগের কোনো কোনো সদস্য ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা ভুলে গেছেন যে, জাতীয় সংসদ আইন-প্রণয়নের ক্ষমতা রাখলেও সংবিধানের মূল স্তম্ভের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো আইন তারা প্রণয়ন করতে পারবে না। প্রণীত কোনো আইন মূল স্তম্ভের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা সেটি নির্ধারণের চূড়ান্ত এখতিয়ার রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।
হাই কোর্টের রায়ের সংক্ষিপ্ত সার
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে ন্যস্ত করে প্রণীত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আর জাতীয় সংসদের সদস্যদের হাতে থাকল না। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে ন্যস্ত করা একটি ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা।
এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের নিষ্পত্তি করে গত বৃহস্পতিবার সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল। তবে বেঞ্চের একজন বিচারপতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দিয়েছেন।
৬ যুক্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের কারণ হিসেবে ৬টি যুক্তি তুলে ধরেন হাইকোর্ট। প্রথম যুক্তি হিসেবে আদালত বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ এবং সংবিধানের ৭-এর ‘খ’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মৌলিক স্তম্ভ পরিবর্তন করার কোনো বিধান নেই। কিন্তু ১৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি সংসদের হাতে তুলে দেয়, যা ছিল ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদের হাতে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা থাকলেও সেখানকার সংস্কৃতিগুলো ভিন্ন। এমনকি এসব দেশে আমাদের দেশের মতো সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নেই। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা আছে, দলের মতামতের বাইরে কোনো সংসদ সদস্য ভোট দিলে তার সংসদ সদস্য পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। তৃতীয়ত, আদালত বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ৬৩ শতাংশ দেশেই বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে নেই। শ্রীলঙ্কা ও ভারত দুটি ক্ষেত্রে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রাখলেও তার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। চতুর্থত, বিচারক অদক্ষ হলেও অপসারণ করা যাবে না। তাহলে তা দেশের জন্য লজ্জাজনক হবে। পঞ্চমত, আদালত বলেন, বাংলাদেশে বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা নেই। কিন্তু অপসারণের নীতিমালা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই ঠিক নয়। আগে নিয়োগের নীতিমালা ঠিক করা উচিত। ষষ্ঠত: বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে দেয়ার ফলে বিচার বিভাগের ওপর খড়গ ঝুলিয়ে দেয়া হয়। বিচারকদের ওপর যদি এই খড়গ ঝুলিয়ে দেয়া হয় তাহলে জনগণের মনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবে। ন্যায়বিচার নিয়ে তখন জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হবে। এই ছয়টি যুক্তি দিয়ে আদালত ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের ফলে সংসদের হাতে বিচারপতিদের অপসারণের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল তা বাতিল হলো।
১৯৭২ সাল থেকে ২০১৩ সাল
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ (২) ও (৩) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বিচারপতির অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদে এমপিদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৫ শে জানুয়ারী সর্বপ্রথম ৭২ সালের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংশোধিত হয়। ঐ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে অভিসংশন, বিচার ও অপসারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের ওপর ন্যস্ত করা হয়।
মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে ১৯৭৮ সালে ৪র্থ সংশোধনী বাতিলের সাথে সাথে ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনরায় সংশোধন করা হয়। এই সংশোধনী মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অভিসংশন, তদন্ত এবং অপসারণের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর। এই কাউন্সিলের সদস্য হবেন প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুইজন বিচারপতি। এই আইনটি বহাল থাকে ১৯১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ বা ষোলতম সংশোধনী অনুমোদন হওয়া পর্যন্ত।



 

Show all comments
  • সাজ্জাদ ৮ মে, ২০১৬, ২:২৯ পিএম says : 0
    বিচার বিভাগকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য কাম্য নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • ফাইজুর রহমান ৮ মে, ২০১৬, ২:৩১ পিএম says : 0
    আসলে দেশে এসব কথা বলার কোন লোক নাই। আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো।
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ৮ মে, ২০১৬, ২:৩১ পিএম says : 0
    আমি হাইকোর্টের রায়কে সমার্থন করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর আশঙ্কা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ