পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও জবরদস্তি দেশবাসী কখনও পছন্দ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তাদের জবরদস্তি এদেশের মানুষ কখনও মেনে নেয়নি। আসছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তারা আবারও এর জবাব দেবে। ৩০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এবং সেখানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে আবারও সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবন ধানমন্ডির সুধসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা ও পঞ্চগড় জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে ভিডিও কনফারেন্সে এই পাঁচ জেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুমিল্লা জেলার ১১টি আসনের আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
কুমিল্লা জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন কুমিল্লার ১০টি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী গত ১০ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে কুমিল্লাবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। প্রজেক্টরের মাধ্যমে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, সুবিদ আলী ভূইয়া, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, অধ্যাপক আলী আশ্রাফ, নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, তাজুল ইসলাম এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলার আটটি আসনের আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন উন্নয়নের সুফল পায় দেশের মানুষ। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিতেও নির্দেশ দেন তিনি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
যশোর ব্যুরো সংবাদদাতা জানান, যশোরবাসীর কাছে নৌকায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে ঢাকার সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সর যশোর টাউন হল ময়দানে সংযুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনকে আকাক্সক্ষা ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। যশোর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। পদ্মাসেতুর সঙ্গে যশোর পর্যন্ত রেলসংযোগ করে দিচ্ছি। সেটা যশোর থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত যাবে। যশোর-খুলনা রাস্তা চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। যশোর-বেনাপোল রাস্তার উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ সার্বিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি। গত নির্বাচনে যশোরবাসী ভোট দিয়ে ৬টি আসনে নৌকার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছিল। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যশোরবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়, নৌকায় ভোট দিলে সমৃদ্ধি হয়, নৌকায় ভোট দিলেই দেশ এগিয়ে যায়।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো। আমরা অবশ্যই চাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে চাই। ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বক্তব্য রাখেন। এরপর উন্নয়ন নিয়ে একটি ভিডিও দেখানো হয়। যশোর টাউন হল ময়দানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খয়রাত হোসেন, আবদুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।