পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে বিদায় বেলায় কবি সুকান্তের ভাষায় শেখ হাসিনা বলেন, চলে যাব- তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল? এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এই আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
গতকাল দুপুরে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এভাবেই তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই তিনি গর্ব অনুভব করি। আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার।’ সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। প্রধানমন্ত্রীত্ব পদটাকে কিভাবে উপভোগ করবো সেই চিন্তা করি না। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইবো আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম আমার কাছে সেটাই বিবেচ্য।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে তিনি সরকারি কর্মচারিদেরকে তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারি। আপনাদের বেতন-ভাতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই হয়। কাজেই তাদের সেবা করা, কল্যাণ করা, আপনাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারি পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, একান্ত সচিব (২) অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব, এটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই। সেটাই আমার কাছে বড়। তিনি সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি। এখনও বহুকাজ বাকী। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। আগামী ৩০ তারিখে যদি ভোটাররা ভোট দেয় তাহলে আবার আসতে পারবো এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারবো। আর তা না হলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোন ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা আমার নিজের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য যে, আমরা দ্বিতীয়বার আসতে পেরেছি। তাই আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আজ দৃশ্যমান হয়েছে। মানুষের জীবনমানের আরো উন্নয়ন করাই সরকারের আগামী দিনের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এজন্য আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতেকটি গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছি। যাতে সবধরনের নাগরিক সুবিধাগুলো গ্রামের মানুষ পেতে পারে।
সরকার উন্নয়নের সমতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে সরকারি কর্মচারি থেকে শুরু করে দলিত হরিজন শ্রেনীর জন্যও ফ্লাট করে দেওয়ার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, এভাবে বস্তিবাসীর জন্য আমরা ফ্লাট করে দেব এবং সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই যেন একটা সুন্দর জীবন পায় সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। কোন মানুষ অবহেলায় থাকবে না।
বিভিন্ন পেশার অধস্তন কর্মচারিদের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাম পরিবর্তন আমি এজন্য করলাম কারণ, তাদের ছেলে মেয়ে যখন শিক্ষিত হয় তখন তাদেরকে নাপিত বা সুইপার বলা অসম্মানজনক হয়। তাছাড়া এখন একটু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তারা কাজগুলো করতে পারে। তাই, এইসব পদবী পরিবর্তন করলাম।
প্রধানমন্ত্রী পরে তার কার্যালয়ের মেইন গেটের সামনের দেয়ালে স্মৃতিময় ১৯৫২ থেকে ’৭১ এর মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত বাঙালির গৌরবের ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি টেরাকেটার ম্যুরাল পরিদর্শন করেন। ছাত্রলীগ নেতা মুহম্মদ আরিফুজ্জামান নুর নবী এই ম্যুরালের ভাস্কর।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।