পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সারাদেশের জনগন আজ ধানের শীষ মার্কায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ধানের শীষ এখন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ধানের শীষ মানুষের মুক্তির প্রতীক। সবাই ঐক্যবদ্ধাভাবে ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষ মুক্তির প্রতীক। ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেইভাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় অর্জন করবো ইনশাঅল্লাহ। এ বিজয় জনগণের। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হেনস্তা ও নজিরবিহীন হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করলেও এতে কোন ভয় নেই। নির্ভয়ে সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। ভোট দিয়ে কেন্দ্র পাহারা দেবেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করবো। বৃহস্পতিবার বিকালে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল বলেন, সারা দেশে ব্যাপক সারা পাচ্ছি। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আমরা পরিবর্তন চাই। শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে পরিবতর্ন চাই। আমরা সবাই মিলে ভোটের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করবো। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় অর্জন হবে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে। কোন ভয় নেই, কেউ ভয় পাবেন না। আমরা আজীবনই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ আপনারা বিজয়ী হচ্ছেন। শক্তভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার এখন ‹ভীত›। সরকার যদি মনে করত তারা জিতবে, তাহলে তো এতো দুই নাম্বারি, তিন নাম্বারি করত না। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করত না। সরকার কতটা নার্ভাস হলে এটা করে। এতেই বোঝা যায় সরকার কতটা ভীত।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পরিবর্তন চায়। ১৬ ডিসেম্বর যেমন বিজয়ের দিন, ৩০ ডিসেম্বর হবে আরেক বিজয়। পরিবর্তনের পক্ষে দেশের মানুষের সাড়া পড়েছে। এ নির্বাচন শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্বাচন।
ড. কামাল বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের কথা বার বার বলছে। এই উন্নয়নের কথা ৪৭ বছর আগে আইয়ুব খান বলেছিল। আইয়ুব খান তখন ১১%প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল। দেশের মানুষ সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই উন্নয়নের কথা এবারও প্রত্যাখান করবে জনগণ। গণতন্ত্র হলো উন্নয়নের মূল বিষয়। গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন অর্থপূর্ণ হয় না। উন্নয়নের কোনো অর্থই থাকে না, যদি মানুষের অধিকার না থাকে। গণতন্ত্রকে বাইরে রেখে উন্নয়নের কথা বলে স্বৈরশাসকরা। সরকার এখন ৭% থেকে ৮% প্রবৃদ্ধির কথা বলে। অথচ আইয়ুব খানের সময়ে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার ছিল। তবুও আমরা ছয় দফা থেকে পিছিয়ে যাইনি। এবারও আমরা সরকারের উন্নয়নের কথায় ভোটের অধিকার থেকে সরব না।
ড. কামাল বলেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করছে। আল্লার কসম তারা ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রায় ৪০টি বেসরকারি ব্যাংক অনুমোদন দিয়ে লুটপাট করছে। এতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে দলীয়করণ করবো না, দলীয়করণ থেকে মুক্ত হতেই আমরা এক হয়েছি। দলীয়করণ মানে জমিদারি, ভোট দিয়ে এ থেকে মুক্ত হব। ধানের শীষে ভোট দিলে এ থেকে মুক্ত হবেন। ধানের শীষ দলের নয়, সবার ঐক্যের প্রতীক। প্রশাসনকে কোনো দলের স্বার্থে না, জনগণের স্বার্থে প্রশাসনকে কাজ করার আহ্বান জানান ড. কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, আপনার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট প্রদান করবেন। তিনি বলেন, সরকারের ইতোমধ্যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। অন্যায় অপশক্তি আর পাপের কাছে নতি শিকার না করে, ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে তাদের মুক্তির জন্য, নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা জন্য এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনঘনের সার্থে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ভয়ের কিছু নেই। সরকারের জুলুম নির্যাতনের ফলে মানুষ আরও বিক্ষুব্ধ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন যে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করছে তাতে প্রধান নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃনিত নাম মীরজাফরের সাথে তার নামটিও উচ্চারিত হবে। দেশের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয়ে এর প্রকাশ ঘটবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, এডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।