Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোটের দিন অধিক মাত্রার সহিংসতার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

সিইসি-মিলার জরুরি বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা প্রচার-প্রচারণায় যেসব কর্মকান্ড হয়েছে তাতে ভোটের দিনে অধিক মাত্রার সহিংসতার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য এখনই ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। সহিংসতার আশঙ্কায় ওয়াশিংটনের বার্তা নিয়ে জরুরিভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এসব কথা বলেন।
উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের প্রচার-প্রচারণায় যে সহিংসতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি এটি খুবই উদ্বেগের। এ নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেঁস যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ভোটের দিনে সহিংস পরিস্থিতি ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আমরা আহ্বান জানিয়েছি। এ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে জরুরি সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সিইসি মিস্টার হুদার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে অন্য কমিশনাররাও ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তারা চায় সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে ভোট দিক। নারীরা নির্ভয়ে অংশ নিক। ভোটারদের নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোটে জনমতের সত্যিকারের প্রতিফলন দেখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের যে আকাঙ্খা সেটি পূণর্ব্যক্ত করে মার্কিন দূত বলেন, তারা আশা করেন যে, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশে সবার অধিকার থাকবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ের অধিকার থাকবে।
রবার্ট মিলার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি যুক্তরাষ্ট্র গত দুই সপ্তাহের নির্বাচনী সংহিসতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। গত কয়েক দিনে সহিংসাতায় বিরোধী দলীয় বড় বড় নেতাসহ সংখ্যালঘুরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহিংসতা মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায়। রবার্ট মিলার বলেন, সংখ্যালঘুসহ সকল বাংলাদেশি যেন ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। সুশীল সমাজ, পর্যবেক্ষকরা যেন সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন সে বিষয়েও আমরা আশাবাদী।
রবার্ট মিলার বলেন, গত দুই সপ্তাহের নির্বাচনী সংহিসতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীও আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশ বড় নেতাই বিরোধী দলের। তিনি বলেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া জন্য সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা কি তা জানতে এসেছিলাম। তিনি বলেন, জাতিসংঘের (ইউএন) মহাসচিব একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেই দাবি আমাদেরও। তিনি নির্বাচনের আগে ও পরে সকল অংশীজনের কাছে তিনি সহিংসতা মুক্ত শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছেন।
মিলার বলেন, ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সাপোর্ট করেন।



 

Show all comments
  • Md Matiar Rahman ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    নির্বাচন হবে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এ নিয়ে আশংকা করার কিছুই নেই। কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই এব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Matiar Rahman Nil Akash ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৭ এএম says : 0
    সবাইকে বুজানো গেলে ও আওয়ামীলীগ কে বুঝানো যাবেনা, যত প্রমান দেন যত কিছু বলেন সত্য মেনে নিবেনা,
    Total Reply(0) Reply
  • Eman Ali ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৭ এএম says : 0
    ওরা চাইবে ভোট চুরি করতে বিএনপি চাইবে ভোট রক্ষা করতে সহিংসতা হবেই
    Total Reply(0) Reply
  • Mojibul Hoque Sohel ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    এখন নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকার as usual continue করুক। একটা আইন পাশ করে Election বাতিল করা হউক।
    Total Reply(0) Reply
  • Suja Chowdhury ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    আপনি বলতে আমেরিকা কি মুসলিম দের উপকারি বনদু ?কোথায় আপনারা মুসলিমদের মারছেন না?আমরা কেনো আপনাকে মান্য করবো?নাক গলাবেন না।
    Total Reply(0) Reply
  • Admiral General Aladeen ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৯ এএম says : 0
    আপনাদের আর বেইল নাই। নিজেদের কথা ভাবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Deepak Eojbalia ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    Almost Asian and African countries would occur violence during election. But USA expressed concern about bd election.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্রের কথায় পাত্তা না দেবার আগে চিন্তা করা উচিত তাদের কাছে এক সময়ে না এক সময়ে ধর্ণা তো দিতেই হবে। তখন খালি হাতে ফেরৎ আসা লাগবে। বাস্তবতা বিবেচনা করে কথা বলা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকtoha ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    পারলে আমাদের বাঁচান, আপনার উদ্বিগ্ন দিয়ে কারো কিছুই আসবে না যাবে ও না । পারলে কঠোর পদক্ষেপ নিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Akib ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:০২ এএম says : 0
    If not fair election, America should economic sanctions.
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৪১ এএম says : 0
    If election commission doesn’t follow this instructions then what UN & USA will do?
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafa Ahsan ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩১ এএম says : 0
    মার্কিনীরা সার্থের কেয়ার করে, বাংলাদেশের নির্বাচনে কে আসলো আর কে গেল তাতে এখন আর তাদের কিছুই যায় আসে না তারা চিন্তা করে $1.50c তে সারট আর $1.80cent এ প্যান্ট বানানো বন্ধ হলে ভিয়েতনাম আর চায়নাকে কত শত মিলিয়ন বৎসরে বেশি দিয়ে পোষাক আমদানি করতে হবে।আমেরিকা গনতন্ত্র বিক্রির ব্যাবসায় অনেক আগে থেকেই মন্দার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে এখন যুদ্ধের ব্যবসাও রাশিয়ার জন্য একচেটিয়া করতে পারছেঅ না। এমন ঠুঠা জগন্নাথরা ভারতকেই আমাদের দেখভালের দায়ীত্য দিয়ে মাঝে মাঝে নিজের উপস্তিতি জানান দেন ,আগের সেই আমেরিকান দিন যে গেছে তা জাহাংগীর কবির নানকের এত বড় অভিযানের পরও বেগম মার্শা বারনিকাট এর নিরব প্রস্তানই কি তার প্রমান নয়? শুধু ফাইন করার কারনে বেচারা নানক ঢাকার সিটটা হারালেন তবে আশ্বাস পেয়েছেন কান্না কাটি করার পর নেত্রীর কাছ থেকে যে পার্টি ক্ষমতায় আসলে টেকনোকেরেট মন্ত্রী হবেন ,হাজার হলেওতো নেত্রীর জন্যই মার্শাকে মারতে যেয়ে মাকরশার জালে আটকেছেন। আমেরিকার কিচছু যায় আসে না আমরা মারামারি করে মরলে যেমন ১৯৭১ সালেও তাদের বিবেক কাজ করেনি। এত বড় হত্যাযগ্য অবলোকন করার পরও তারা তখনও সেন্টাে সিয়াটো চুক্তির দোহাই দিয়ে পাকিস্তান কে নিয়মিত অস্ত্র বিক্রি করে গেছে।আজ এক দশক এর উপর আমেরিকায় থেকে বুঝতে পারি বাংলাদেশের সস্তা শ্রমের পোষাক শিল্পের বাজার ওদের কত দরকার এ দেশের মধ্যবিত্তের জন্য বাংলাদেশের কাপড় এর বাজারের বিপুল চাহিদার কারনে আজ আমরা সারা দুনিয়ার মধ্যে পোষাক রফতানিকারক হিসাবে চিন এর পরে দিবতীয় অবস্থানে আছি ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ