পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসন পেতে পারে বলে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)-এর নতুন জনমত জরিপে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বাস্তবে সেটাও ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
তার ধারণা, আসন্ন নির্বাচনে ৩০টি আসনেও জয়লাভ করার মতো সমর্থন নেই বিএনপির। এই নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের জন্য ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বুধবার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্টাটাসে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির হামলার শিকার হচ্ছেন জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন জয়। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি সংস্থা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নতুন জনমত জরিপ প্রকাশের পর এই স্ট্যাটাস দেন তিনি। ওই জরিপে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ আসনে এবং স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
নিচে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া পুরো স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো: রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)-এর নতুন জনমত জরিপের ফলাফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সারাদেশের ৫০টি জেলায় ২,২৪৯ জন তালিকাভুক্ত ভোটারের ওপর ডিসেম্বর এর প্রথম দুই সপ্তাহে এই জরিপটি চালানো হয়। এই জরিপের ঈড়হভরফবহপব খবাবষ ৯৫% এবং গধৎমরহ ড়ভ ঊৎৎড়ৎ +/-৩%।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমর্থন ৬০.৪% আর বিএনপি’র সমর্থন ২২.২%। এছাড়া জাতীয় পার্টি ৩.৭%, সিদ্ধান্তহীন ১০.৩% এবং ২.৭% ভোটার উত্তর দিতে চাননি। এই জরিপটি পরিচালনার জন্য আরডিসি একটি নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। ভোটাররা মক ব্যালটে ভোট দিয়ে একটি প্লাস্টিক বক্সে ফেলেন। ব্যালটে কারো নাম লেখা ছিল না, ফলে বোঝা যায়নি কে কোন দলের জন্য ভোট দিয়েছেন। এর ফলে দুটি জটিলতা দূর হয়, একটি হলো ভোটারদের মন থেকে তাদের মূল পছন্দ প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় দূর হয়েছে এবং অন্যটি হচ্ছে এর ফলে সিদ্ধান্তহীন অনেকেই ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেমনটি তারা আসল ভোটের দিন করবেন।
যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কখনোই শতভাগ হওয়া সম্ভব না, ধরে নেওয়া যায় যে বেশিরভাগ সিদ্ধান্তহীন ভোটাররাই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী নন এবং তাদের ভোট না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আরডিসি’র পূর্বাভাস হচ্ছে, আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে ২৪৮টি আসনে জয়লাভ করবে আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট জিতবে ৫৯টি আসনে।
আমি মনে করি বিএনপি’র জন্য এই পূর্বাভাস বাস্তবসম্মত না, কারণ তাদের ৩০টি আসনেও জয়লাভ করার মতন সমর্থন নেই। যাই হোক, আমাদের জন্য আসন্ন নির্বাচনের ফল ২০০৮ সালের নির্বাচনের চাইতেও ভালো হবে। এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে জরিপের একটি ছকও তুলে ধরেন তিনি।
এছাড়া গতকাল তিনি পেসবুকে লিখেন, শুধু ২৬ তারিখেই ১৭টি জেলার ২২টি আসনে বিএনপি-জামায়াতের হাতে ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, মিডিয়া রিপোর্ট থেকে: ১ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৪৪১ জন আহত হয়েছেন। ১৭০টি আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বাসা-বাড়ি ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৬৮টি কার্যালয় ও যানবাহন পোড়ানো হয়। অন্তত ৪টি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
শুধুমাত্র ২৬ তারিখেই ১৭টি জেলার ২২টি আসনে বিএনপি-জামায়াতের গুন্ডাবাহিনীর হাতে ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, ১০টি জায়গায় বোমাবাজি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং ৭টি দলীয় কার্যালয় ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত মানেই সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধাপরাধ। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আগামী নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করুন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।