পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ ডিসেম্বর দেশ, দেশের মানুষ, আগামীর ভবিষ্যত সন্তানদের জন্য সকলকে বেড়িয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওইদিন শুধু নিজের ভোট দেয়ার জন্যই নয়, এই দেশের মালিকানা বুঝে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি যেমন দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন বাবা-মা ও তাদের সন্তানদের কি অবস্থা। একই সাথে বলে দিয়েছেন কিভাবে এই দেশটা বর্তমান অবস্থা থেকে বদলানো যাবে। আশ্বাস দিয়েছেন কেউ এই পরিবর্তনের পথে একা নন। সকলে মিলেই বদলাতে হবে। আবার এই পরিবর্তনের পথ না ধরলে সন্তানদের কি প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হবে তাও উল্লেখ করেছেন। আর এই পথে ভয়ের কোন জায়গা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবচেয়ে সুন্দরগুলো সামনে। সেই দিনগুলো আমাদের, আমাদের সন্তানদের জন্য। আমরা এই দেশটা তাদের হাতে দিয়ে যেতে চাই। আমাদের আজ আর কোন ভয় নেই
বিএনপি মহাসচিবের ভিডিও বার্তার কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
আজ বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক সঙ্কটময় মূহুর্তে। আমি শুধু একবার আপনাকে চোখ দুটো বন্ধ করতে বলবো। জানিনা আপনি কি দেখতে পান? আমি দেখি ছোট্ট একটা মুখ, তুল তুলে গাল, খাড়া খাড়া চুল, আমার ছোট্ট সেই মেয়েটার প্রথম পায়ে হাঁটা। সে নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম জেনেছিলাম পৃথিবীর সব সন্তান আমাদের, আমরা যারা বাবা আর মা। আমি জানি আপনার চোখেও সেই একই দৃশ্য ভেসে ওঠে। মনটাকে একবার জিজ্ঞেস করুন, আপনি কি দেখতে চান এই ফুটফুটে শিশুটা বড় হয়ে প্রশ্ন ফাঁস করা পরীক্ষায় নকল করছে। কিংবা আপনার সারাজীবনের সঞ্চয় লুট করে কোন বাজিকর তার ছুটি কাটানোর বাড়ি কিনছে কানাডায়। কিংবা আপনার ১৪ বছরের ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেননা সাদা পোষাকের কেউ তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে যেকোন সময়। যারা এই ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন আমি তাদের সুসংবাদ দিচ্ছি। আপনি একা নন, বিশ্বাস করুন আপনিই বাংলাদেশ। আমরাই সবাই।
একটা দেশ কোন রাজনীতিবিদ বদলায় না। বদলায় তার মানুষ সাধারণ জনগণ, তারা কোন ইউনিফর্ম পড়ে না। তারা শুধু একটাই আশা বুকে রেখে মাটিতে শুয়ে পড়ে। এই সুন্দর দেশটা আমরা আমাদের সন্তানদের কাছে দিয়ে যাবো। আমি সেই বাবাকে বলছি, যিনি মৃত্যুর আগ মূহুর্তে তার মেয়ের ভয়ার্ত কণ্ঠে শনুতে চান না, বাবা তুমি কান্না করছো কেন?
আমি সেই মাকে বলছি যিনি তার ৫ বছরের মেয়েকে বলতে পারছেন না যে, তারা বাবা আর কোন দিনও ফিরে আসবে না। মেয়েটার বাবার লাশ আজও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আপনিই বাংলাদেশ। বিশ্বাস করুন আমরাই সবাই, আমাদের আর কোন ভয় নেই। এই হৃদয়ে বাংলাদেশকে বসিয়েছি। এতো বড় জায়গা জুড়ে যে, সেখানে আর ভয়ের কোন জায়গা নেই।
আপনারা বেড়িয়ে আসুন। বাংলাদেশের সব বাবা আর মা তাদের সন্তানদের জন্য, আজ কিছু দিয়ে যাবেন। একদিন তারা জিজ্ঞেস করবে। আমাদের এই দেশটা যখন মৃত্যুপুরী হয়েছিলো তখন তুমি কি করছিলে মা?
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলছি এই দেশটা আপনাদের। আপনাদের দুটো হাতের দিকে এই দেশ তাকিয়ে আছে। আমি আপনাদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছি। আমি সেই মায়ের দিকে তাকিয়ে আছি, যিনি তার বিয়ের শেষ গয়নাটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন। তার সন্তানের লেখাপড়ার জন্য। আপনাকে বলছি আমি, বেড়িয়ে আসুন, নিয়ে নিন এই দেশটা। ৩০ তারিখ আপনি শুধু ভোট দেবেন না, সেদিন এই দেশটা আপনার হয়ে যাবে। আপনারা বুঝে নেবেন তার মালিকানা। আমি জানি আমাদের সবচেয়ে সুন্দরগুলো আমাদের সামনে, সেই দিনগুলো আমাদের, আমাদের সন্তানদের জন্য। আমরা এই দেশটা তাদের হাতে দিয়ে যেতে চাই। আমাদের আজ আর কোন ভয় নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।