পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সশস্ত্রবাহিনী এই নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, সিআরপিসির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখন সশস্ত্রবাহিনী কাজ করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীসংখ্যা বেশি। কিছুটা উত্তেজনা আছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তারা আশা করছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা গেছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে তিনি মনে করেন না। ভোটে রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করে। দলগুলোর প্রতি তিনি অনুরোধ করেন, যাতে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করে এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করছে। কিছু অভিযোগের সত্যতা তারা পেয়েছেন। সেসব ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে, সেসব আসনে মক ভোটিং (আসল ভোট কীভাবে দেওয়া হবে তা জানার ব্যবস্থা) চলছে। জনগণের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আরও দুদিন মক ভোটিং চলবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু আমাদের প্রয়োজন, ততটুকু প্রস্তুতি আমাদের আছে। নির্বাচনী সামগ্রী কিছু কিছু জায়গায় চলে গেছে, কিছু কিছু যাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী থেকে দুটো হেলিকপ্টার নিয়ে রেখেছি। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগের দিন এবং যেকোনো প্রয়োজনে লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য। আইনশৃঙ্খলার সব বাহিনী মোতায়েন হয়ে গেছে। আমরা আমাদের কট্রোল রুম স্থাপন করেছি। কন্ট্রোল রুমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সব বাহিনীর সদস্যরা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে এবং এখান থেকে আমরা ৩০০টি আসনে সশস্ত্র বাহিনী থেকে নেওয়া এসএফ রেডিওর মাধ্যমে সব রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ তো আমাদেরকে মেনে চলতেই হবে। যদি শেষ মুহূর্তেও সে ধরনের কোনো আদেশ আসে, সেটার জন্য আমাদের যে প্রস্তুতি সেটা হলো- আগেই যেটা বলেছি যে, লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য সশস্ত্র বাহিনী থেকে হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই রাখা আছে, যেন ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারি।
হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেসব পাওয়া গেছে, সেগুলোর সমাধান আসন থেকে করা হবে, নির্বাচন কমিশন থেকে নয়। জেলা পর্যায়ে এসব ব্যাপারে ১২২ ইলেক্ট্ররাল ইনকোয়ারি কমিটি করা আছে। তারাই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।