পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেন্দ্রে যাব। ভোট দেব। দেখি কে ঠেকায়। দৃঢ়তার সাথে বললেন অটোরিকশা চালক শামসুল হক। চট্টগ্রাম নগরীর বিমানবন্দর-ইপিজেড রুটে অটোরিকশা চালান তিনি। জেলার চন্দনাইশের গ্রামের বাড়িতে ভোটার তিনি। বলছিলেন শুক্রবার বিকেলেই বাড়ি যাব। মা-বাবা-স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দেব। শুনেছি ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেবে। সেখানে এরমধ্যে মারামারিও হয়েছে। বাড়ির সামনেই ভোটকেন্দ্র। দেখি ভোট দিতে গেলে আমাদের ঠেকায় কে।
অটোচালক শামসুল হকের মতো চট্টগ্রামের ভোটারেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাধিকার প্রয়োগে। বিশেষ করে এবার যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের আগ্রহটা যেন আরও বেশী। নারী-পুরুষ সব ধরনের ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনেকের সাথে কথা হয়। সবার এক কথা- ভোট অবশ্যই দেব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। গতকাল সরকারি কর্মদিবস শেষ হওয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে গেছে টানা তিনদিনের সরকারি ছুটি। দেশের সর্ববৃহৎ ইপিজেড-চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ এখানকার শিল্প কারখানা বন্ধ দেয়া হয়েছে তিনদিনের জন্য। অফিস ছুটির পর থেকে রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনাল গুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগে যায়।
গ্রামে যারা ভোটার তারা ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। ভোট দেবেন নিজ নিজ কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। ১০ বছর পর সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ভোটের মাঠে সমান সুযোগ নেই। প্রচারণায় নেমেই সরকারি দলের মার খেয়েছেন বিরোধী দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। পুলিশি ধরপাকড় চলছেই। নির্বাচনী সহিংসতাও হয়েছে অনেক এলাকায়। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোট দেয়ার আগ্রহে যেন ভাটা পড়েনি।
বেশ কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে তাদের মধ্যে ভোটদানের ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। পতেঙ্গা বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ মাকসুদ আলীকে জিজ্ঞেস করা হলো ভোটকেন্দ্রে যাবেন কিনা। পাল্টা প্রশ্ন কেন যাব না। ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার। অবশ্যই ভোট দেব। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রে যাব ভোট দেব। গোলযোগের কথা চিন্তা করে বসে থাকার সুযোগ নেই। এবার নতুন ভোটার হয়েছেন আগ্রাবাদ এলাকার আবদুল হামিদ। বললেন জীবনে প্রথম ভোট। অবশ্যই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। ইতোমধ্যে ভোটারদের মক ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যন্ত্রে ভোট দেয়া নিয়েও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও তরুণ ভোটারেরা খুশি। তারা বলছেন, জীবনের প্রথম ভোটটি ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে পারবেন। কয়েকজন ভোটার বললেন, পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ মেলে। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। সহিংসতা প্রসঙ্গে তারা বলছেন, নিজেদের এলাকাতেই ভোটকেন্দ্র। সবাই সবাইকে চেনে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা থাকতে পারে। তবে প্রতিবেশীর যে সম্পর্ক সে কারণেও ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
কয়েকজন ভোটার জানান, প্রচারণায় কিছুটা সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে। তবে ভোটের দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কারণ সব দলই চায় ব্যাপক ভোটারের অংশগ্রহণ। ভোটারদের অংশগ্রহণ ঠেকানোর উদ্যোগ যারা নেবেন তাদের বিরুদ্ধে ভোটাররাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। একজন ভোটার তার মোবাইল ফোন এগিয়ে দিয়ে বললেন, সরকারি তরফে ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার, নির্বাচনে ভোট দিয়ে আপনার এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন’ এমন ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। আমরাও আশা করি সরকার আমাদের ভোটের এ অধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।