Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চতুর্থ ধাপেও সরকারের ভোট জালিয়াতির মহোৎসব রিজভী

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকার ভোট জালিয়াতির মহোৎসব চালিয়ে সব কেন্দ্র দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তথ্য তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী আহমেদ বলেন, ৪৭টি জেলার ৭০৯টি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে, জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। আইন অনুযায়ী সকাল আটটায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল রাত থেকেই ক্ষমতাসীনরা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। বাকিটা সকালে সকল ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের কথা জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং প্রশাসন সরকারদলীয় প্রার্থীদের সহযোগিতা করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশেই বরাবরের মতোই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে।
রিজভী বলেন, আগের মতোই এবারও ভোটের দিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়ে যায় আগের রাতে। এছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী অসংখ্য ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের মহোৎসব চালিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনি হলে ৯০ ভাগ বিএনপির প্রার্থী জয়ী হতো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন মায়ার নেতৃত্বে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। মায়া আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পর প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। আর মারবেন না কেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও তার মন্ত্রিত্ব বহাল আছে। তার কাছে গণতন্ত্রই কী আর নির্বাচনই বা কী?
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার কারণেই বিএনপির কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও চাপ সৃষ্টির কারণে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে চতুর্থ ধাপের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০৯টি ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির প্রার্থী শূন্য থাকছে। এই প্রার্থী শূন্যতার জন্য দায়ী অথর্ব নির্বাচন কমিশন
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্বাচন, সেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হত্যা করেছে এই কমিশন। এরা গণতন্ত্র হত্যার জল্লাদ হিসেবে এদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। মানুষের ভোটাধিকার দুর্বিনীত শাসকদলের অনুকূলে হরণ করতে সহায়তা করার জন্য এই কমিশনের পদাধিকারীরা দেশবাসীর কাছে দুষ্কৃতকারী হিসেবেই গণ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেনÑবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন উর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মোস্তাক মিয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চতুর্থ ধাপেও সরকারের ভোট জালিয়াতির মহোৎসব রিজভী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ