প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : নির্বাচনটি কি সেটি বুঝতে হবে। যদি প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়ায় এবং তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসকে প্রাধান্য দিতে চায়, তাহলে মুসলিম প্রার্থীর বিপরীতে বিধর্মী প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে না। তবে, নির্বাচনটি যদি আদর্শ ও নীতিমালা ভিত্তিক হয়, আর মুসলমান ভোটার যে আদর্শ ও নীতিমালাকে পছন্দ করে এর প্রতিনিধি লোকটি যদি অমুসলিমও হয়, তাহলে তাকে ভোট দেওয়া যাবে। কেননা, সে তখন ব্যক্তি নয়। মুসলমানের ফেভারিট নীতি আদর্শের প্রতিনিধি মাত্র। তার প্রতিকও আদর্শের প্রতিক। এর বিপরীতে মুসলমানের আদর্শ ও নীতিমালা বিরোধী কিংবা মুসলিম সমাজের স্বার্থ বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়ানো মুসলমান প্রার্থীকেও ভোট দেওয়া যাবে না। যেমন, মুসলিম বাহিনীর অমুসলিম সৈনিক। তাকে নাগরিকরা সাথ দিতে পারে। বিদ্রোহী মুসলমানদেরকে সাথ বা সমর্থন দিতে পারে না।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।