পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা আরও কমলো। এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৫ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক অনুমোদন করলেও এনজিও ব্যুরোর অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ হাজার পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন।
পর্যবেক্ষকের এই সংখ্যা ২০০১ সালের নির্বাচনের তুলনায় ১২ ভাগের এক ভাগ এবং ২০০৮ সালের তুলনায় ৯ ভাগের এক ভাগ কম। তবে আমেরিকার এনডিআইয়ের পক্ষে কাজ করা অ্যানফ্রেল এবং ইইউ পর্যবেক্ষণ না করলেও শেষ পর্যন্ত বিদেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা দু’শ ছাড়াতে পারে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ৮১টি প্রতিষ্ঠান ৩৪ হাজার ৬৭১ জন পর্যবেক্ষকের জন্য ইসিতে আবেদন করে। সেখান থেকে ইসি বাছাই করে ২৫ হাজার ৯২০ জন দেশি পর্যবেক্ষকদের তালিকা অনুমোদন করে। এদের মধ্যে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) ২২টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ হাজার পর্যবেক্ষক রয়েছে। বাকি ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১০ হাজার ৯২০ জন।
ইডব্লিউজি সূত্র জানায়, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি অনুদান পেয়ে থাকে, তাদের টাকা ছাড়ের জন্য এনজিও ব্যুরো থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। একই সঙ্গে এনজিও ব্যুরোর অনাপত্তিপত্রের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করতে হয়। ইডব্লিউজির প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা পেয়ে থাকে এশিয়া ফাউন্ডেশন, ইউকেএইড ও ইউএসএইড থেকে। যে কারণে এসব প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণের টাকা ছাড় করাতে হলে এনজিও ব্যুরো ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়।
ইডব্লিউজি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার এনজিও ব্যুরো ইডব্লিউজির সাতটি প্রতিষ্ঠানকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। এগুলো হলো, জানিপপ, সলিডারিটি, উত্তরণ, এসিডি, আইইডি, জিইউকে ও বাঁচতে শেখা। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠান এখনো অনাপত্তিপত্র পায়নি। আর শেষ মুহূর্তে অনাপত্তিপত্র পেলেও তাদের পক্ষে পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। কারণ পর্যবেক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো সময় এখন আর তাদের হাতে নেই। নির্বাচনের বাকি আর তিন দিন।
ইসি সচিবালয়ের নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে ২ লাখ ১৮ হাজার দেশি এবং ২২৫ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন এবং বিদেশি ৫৯৩ জন। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন ৮ হাজার ৮৭৪ জন। বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন ফেমবোসার চারজন।
এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ, লাইট হাউস, খান ফাউন্ডেশন ও ডেমোক্রেসি ওয়াচের বিষয়ে এবং বিএনপি জানিপপকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।