পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা-১২ আসনে কোদাল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচনে দলগুলোর অংশগ্রহণ হয়েছে, কিন্তু জনগণকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণসংহতির ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ও সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাকি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের দুটো মাত্রা। একটি দলগুলোর অংশগ্রহণ, অন্যটি জনগণের অংশগ্রহণ। দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে যদি জনগণকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে বাস্তবে দলগুলোর অংশগ্রহণ একটি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছু নয়।
প্রশাসনের উদ্দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই নেতা বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মনে রাখা দরকার, তারা কেবল কিছু ব্যক্তি নন, তারা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলে তার সঙ্গে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।
ওরা বিএনপির নকল জার্সি পড়ে মাঠে নেমেছে : কাজী ফিরোজ
বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে এবার নির্বাচন করছেন এমন কিছু প্রার্থী যারা জীবনেও বিএনপি করে নাই। ওরা বিএনপির জার্সি নকল করে মাঠে নেমেছে। এদের নিজস্ব কোনো মার্কা নেই, তাই ধানের শীষের ওপর ভর করে চলছেন। আমার প্রতিদ্ব›দ্বীকে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কেউ চিনে না। এখানে যদি বিএনপির কোনো পরিক্ষীত বন্ধু আমার প্রতিপক্ষ হতেন তা হলে আমি যেমন খুশি হতাম, পাশাপাশি বিএনপির ত্যাগীনেতারাও উৎসাহ পেতো। গতকাল বুধবার তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ৪১নং ওয়ার্ডের জয়কালী মন্দির, হাটখোলা, টিপু সুলতান রোড, দক্ষিণ মুহসুন্দি এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারমিছিল ও বেশকয়েকটি পথসভায় এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্য এ কথা বলেন।
ঢাবি এলাকায় জমজমাট নির্বাচনী প্রচার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। তবে বড় বড় দলের প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রচারণা দেখা গেলেও বিএনপির কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাসহ রমনা, মতিঝিল ও পল্টন নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসন। এ আসনে বিভিন্ন দল থেকে মোটা ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবারও দিনভর মিনি ট্রাকে করে নির্বাচনি সংগীত বাজিয়ে নৌকার প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। রিকশায় করে লাঙ্গল প্রার্থীর প্রচারণাও চোখে পড়েছে এলাকায়। কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রিকশায় মইয়ের প্রার্থী’র প্রচারণাও দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিববাড়ি এলাকা এবং ফুলার রোড এলাকায় রয়েছে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের দুটি নির্বাচনি ক্যাম্প।
বিএনপি প্রার্থী’র প্রচারণা না দেখার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষমতাসীনদের বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করেন। শাহবাগ থানার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিন্টু বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেও প্রচারণা চালাতে পারিনি।
৩০ তারিখে দেশবাসীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে : বাবলা
ঢাকা-৪ আসনের মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, অগ্রগতি হয়। আরেকটি জোট ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের চাকা থমকে যায়। তাই ৩০ ডিসেম্বর উন্নয়নের স্বার্থে জনগণকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মহাজোট সরকার বিগত দশ বছরে যে উন্নয়ন করেছে তা এশিয়ার জন্য মাইফলক।
গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় ৪৭ নং ওয়ার্ডের আইজি ট্রাক স্ট্যান্ডে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির ভ‚ঁইয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন থানা সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু, মাইনুদ্দিন চিশতি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।