পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের খারাপ আচরণের জন্য নিন্দা জানান। গতকাল বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁদপুর, কুচ্ছিা ও নওগাঁয় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় এসব জেলার আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। প্রথমে কুচ্ছিা জনসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার বি এম হান্নান জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট দেশজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব, তাই ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাস করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য্য সহকারে কাজ করতে হবে। যেহেতু তারা সন্ত্রাস করে নেতা-কর্মীদের খুন করছে তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিয়ে রাখতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট এরা সন্ত্রাসী বিশ্বাস করে। এরা হত্যা, সন্ত্রাস ও গুমের রাজনীতিতে অভ্যস্থ। তারা জানে বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিবে। এ জন্যা তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করে যাচ্ছে, বোমা হামলা করে যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ওপর হামলা করছে, আমাদের নির্বাচনে অফিস পোড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ৪৫ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে।
তিনি বলেন, যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে বিএনপি- জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে। এটাই তাদের চরিত্র, সেটাই তারা করে যাচ্ছে। এবার হামলায় আমাদের পাঁচজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে যেটা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি-জামায়াত) জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী মানি লন্ডারিং দুর্নীতি অগ্নিসংযোগকারীদের মানুষ ভোট দেবে না। আর সেই কারণে তারা তাদের পেশী শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। অতীতে তারা যেভাবে মানুষকে আক্রমণ করেছে ঠিক সেভাবে এখনও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
দেশের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো, নির্বাচন জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সুযোগ। আপনারা যারা ভোটার সকলে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা এখানে দেখেছি- ঐক্যফ্রন্ট তাদের আচার-আচরণ থেকে কেউ-ই রেহাই পাচ্ছে না।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে গিয়েও পুলিশকে গালিগালাজ করে এসেছেন। তার যে অকথ্য ভাষা- তিনি নাকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন। তার মুখ থেকে অকথ্য ভাষা নোংরা গালি এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করে না। এ রকমই তার চরিত্র। কোর্টে বসে আমার অ্যাটর্নি জেনারেলকে নোংরা গালি দিয়েছে। এখন আবার পুলিশ বাহিনীতে নোংরা গালি দিয়ে বসেছেন। সাংবাদিকদের খামোশ বলে দেখে নেব হুমকি দিয়েছেন। এই আচরণ থেকে বোঝা যায় তাদের নেতা কর্মীদের আচরণটা কতটা জঘন্য। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
চাঁদপুরের ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ। সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ আসনের নুরুল আমিন, চাঁদপুর-৩ আসনের ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনের মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও চাঁদপুর-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ জেলার ৬টি আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীদের এবং জেলার মানুষের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেন। বুধবার বিকেলে নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় নওগাঁবাসীর কাছে তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে সারাদেশসহ নওগাঁ’র উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নওগাঁ জেলার ৬টি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়নের জন্য কাউকে তাগাদা দিতে হয় না। আওয়ামীলীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে। দেশের জন্য, দেশের জনগনের জন্য কাজ করে। এই দশ বছরে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো সরকার গঠন করার সুযোগ দিন। তিনি আবারও ক্ষমতায় আসলে নওগাঁয় একটি ইকোনমিক জোন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, নওগাঁ শহরকে যানজট মুক্ত করতে পৃথক বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মান এবং গ্যাস সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
সারা দেশের এই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান এবং তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামীগের সভাপতি আব্দুল মালেক এমপি, নওগাঁ-৫ আসনের (সদর) প্রার্থী ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন, নওগাঁ-১ আসনের প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী জাতীয় সংদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সাথে সরাসরি কথা বলেন।
এ সময় নওগাঁ-৪ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মুহঃ ইমাজ উদ্দীন, নওগাঁ-৩ আসনের প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদার, নওগাঁ-৬ আসনের প্রার্থী ইসরাফিল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ, কে, এম ফজলে রাব্বীসহ জেলার ও উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।