পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুলিশ তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ড. কামাল গতকাল সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাকে তারা নিরাপত্তা দিতে চায়।
গতকাল দুপুর ১২টার পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার চেম্বারে সাক্ষাৎ করেন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন। তার সঙ্গে আরো ছিলেন ডিসি কামরুজ্জামান, মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমান ও মতিঝিলের ট্্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা সেখানে ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার যাওয়ার কথা বলা হলেও তিনি সেখানে যাননি। হঠাৎ মতিঝিল জোনের ডিসির এ সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন, তারা আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। কোনো কিছু প্রয়োজন হলে চেম্বারে ও বাসায় তারা ব্যবস্থা নেবে। দরকার হলে গাড়ির সঙ্গেও নিরাপত্তা দেবে। এছাড়া কিছু বলেনি। আমি বলেছি, তারা যেন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে। আমার নিরাপত্তা নয়, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের আসার কথা থাকলেও কাজে আটকা পড়ায় এবং যানজটের কারণে আসতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সরকারের কার্যকলাপে সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই থাকবো ইনশা আল্লাহ। ওরা যেন না বলতে পারে যে সরে গেছে। এটা আমাদের অধিকার। আমরা কেন সরে যাব? শেষ পর্যন্ত যদি অসম্ভব করে দেয়, তখন মানুষ দেখবে।
ড. কামালের সাথে সাক্ষাৎ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসার কথা ছিল। কিন্তু জরুরী অন্য বৈঠক থাকায় তিনি আসতে পারেননি। তবে পুলিশ কমিশনার টেলিফোনে ড. কামাল হোসেনের সাথে কথা বলেছেন বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে ডিসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত দায়িত্বের (রেগুলার ডিউটি) অংশ হিসেবে আমরা এসেছি। ওনার (ড. কামাল) নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো সহযোগিতা লাগবে কি না, আমরা তার কাছে তা জানতে চেয়েছিলাম। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তার নিরাপত্তার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে তিনি টেলিফোনে জানাবেন।
কী বিষয়ে কথা হলো? ডিএমপি কমিশনার আসার কথা ছিল -এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে তার সঙ্গে আপনারা (সাংবাদিকরা) কথা বলতে পারেন। কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে ডিটেইলস কিছু বলতে পারব না। আমি নরমাল ডিউটির অংশ হিসেবে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছি, দ্যাটস অল।
ড. কামাল হোসেনের অফিসে পুলিশ যাওয়ার খবরে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়কের সঙ্গে দেখা করতে চান। সে জন্যই কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিলেন।
গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল হোসেন পুলিশকে ‘জানোয়ার’ বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই অর্থে তো বলিনি। তারা মানুষের মতো ভূমিকা রাখবে, আমরা সবাই সেটাই আশা করি। তিনি আরও বলেন, তিনি সব সময়ই পুলিশের প্রশংসা করেছেন। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে সে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আগামীকাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিনে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাননি বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ : পুলিশকে ‘জানোয়ার লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএমপি’র ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ারদার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ পত্রে বলা হয়, এ ধরণের আপত্তিকর, অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পুলিশের মতো জননিরাপত্তা ও জন-শৃঙ্খলা বিধানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনকারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবার মতো অপপ্রয়াস নেওয়া হয়েছে। যা অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। ড. কামাল হোসেনের মতো মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠকের নিকট হতে এ ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য জাতির মনে ভিন্ন চিন্তার উদ্রেক করে। তার ওই বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আপত্তিকর ও অবিবেচনাপ্রসূত। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।