Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একজন ইসির ব্যক্তিগত বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে

ইসিতে এইচটি ইমাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, কোনো কমিশনার একক নির্দেশনা দিতে পারেন না, উচিত নয়। তাহলে জনমনে এ বিষয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ এতে চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়। গতকাল বুধবার ইসি ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন কমিশন মানে সিইসি ও চার কমিশনার যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো কমিশনার বা যে কেউ একা কিছু বলা সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, সকালে গণমাধ্যমে একজন কমিশনারের বক্তব্য শুনেছি। আমরা নিজেরাই হকচকিত হয়ে গেছি। কারণ একজন কমিশনার এককভাবে কোনো নির্দেশনা দিতে পারেন না। যা সিদ্ধান্ত হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দেবেন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে সিদ্ধান্ত জানাবেন। কমিশন থেকে বের হয়ে আরেকজন ব্যক্তিগত মত দেবে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এইচ টি ইমাম বলেন, কমিশন বৈঠকে কোনো কমিশনার ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা বাইরে এসে বলতে পারেন না। এতে মানুষের কাছে ভুলবার্তা যেতে পারে। কারণ কমিশনের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন,সরকারি দল হিসেবে আমরা অনেক কিছুই বলতে পারি। অনেকের কাছে আমরা নির্দেশও দিতে পারি। কিন্তু তা না করে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার আসি এ জন্য যে অন্যরাও এটা করে। কারণ সকলে মনে করে কমিশনের কাছে বিচার পাব। আমাদের কাছে কমিশন হচ্ছে ভরসাস্থল। নির্বাচন কমিশনকে শুধু হেয় নয়, কমিশনের সামনে এমনভাবে কথা বলেন, যেগুলো আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। নির্বাচন কমিশনকে কেউ কেউ টেবিল চাপড়ে কথা বলেন বা কেউ অশোভন উক্তি করেন এতে আমরাও ছোট হয়ে যাই। কমিশনকে আমরা এ বিষয়টিও জানিয়েছি।
এ ছাড়াও সিইসির সঙ্গে বৈঠকে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল, সাংবাদিকদের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহারে অনুমতি, প্রার্থী ও দলের দায়িত্ব প্রাপ্তদের জন্য যান চলাচলের অনুমতি দেয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন বলে জানান তিনি। এইচ টি ইমাম বলেন, এনজিও পর্যবেক্ষণ ব্যুরো থেকে দেখলাম ১১৯টির মধ্যে ৭৫টির নিবন্ধন নেই। অধিকারের বিষয়ে মামলা আছে, এনজিও ব্যুরো বলছে তাদের নিবন্ধনই নেই। এনফেলের লোকাল চ্যাপটার অধিকার। এর চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধ মামলাও আছে। এনফেল এবং অধিকার এক ও অদ্বিতীয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার ও ড. সেলিম মাহমুদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ