লক্ষীপুরে ৪টি আসনে প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী, সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। জেলার সবকয়টি আসনে জয়ের ধারা বজায় রাখতে মরিয়া মহাজোটের প্রার্থীরা। হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে প্রচার প্রচারণায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে ঐক্যফ্রন্টে প্রার্থীরা।
লক্ষীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে মহাজোট প্রার্থী শিল্পপতি ড.আনোয়ার হোসেন খাঁন এবং ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন সেলিম। লক্ষীপুর-২ রায়পুর আসনে মহাজোট প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া। লক্ষীপুর-৩ সদর আসনে মাহজোট প্রার্থী একেএম শাহজাহান কামাল ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লক্ষীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনে মহাজোটের প্রার্থী মেজার আবদুল মান্নান (অব.) ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব’র মধ্যে মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে।
ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে লক্ষীপুরে ভোট নিয়ে দিন দিন মহাজোটের শিবিরে উচ্ছাস আর ঐক্যফ্রন্ট শিবিরে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার মানুষ রাজনীতি সচেতন এবং শান্তি প্রিয়। তারা ভোটের ময়দানে সংঘাত কিংবা রক্তপাত দেখতে চান না। তারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে জেলার যে সব ভোটার দেশের বিভিন্ন স্থানে আবস্থান করছেন তারা ক্রমেই নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষীপুর জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২৪ হাজার ১৫২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৭২০জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ভোটার ছিলো ১০ লাখ ৫১ হাজার ২২২ জন। চলিত বছর ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ১লাখ ৮২ হাজার ৬৯৮ জন, এসব ভোটারের অধিকাংশেরই বয়স এখন ১৮-২৮ বছর। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জেলার ৪টি আসেন ৪৪৬টি কেন্দ্র ২৫৪৮টি কক্ষে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলার রামগঞ্জ উপজেলার হোটাটিয়া গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মোস্তফা দেওয়ান, একই এলাকার আবদুর রহিম সহ কয়েকজন জানায়, ভোট দিতে তারা বাড়িতে এসেছেন। জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে সবাই ভোট দিবে। আমরাও ভোট দিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি।