পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড.রেজা কিবরিয়ার গ্রামের বাড়িতে গতকাল বুধবার বিকেলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ড.রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশি তল্লাশি চলাকালে গ্রামের জামে মসজিদে মাইকিং করে পুলিশের তল্লাশির খবর জানালে গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়। গ্রামবাসীর অবস্থান দেখে পুলিশের টহল টিম বাড়ি থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পাশ্ববর্তী গোপলাবাজার তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের উপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ২তলা বাসার কক্ষে তল্লাশির সময় মাইকিং করে রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশ ও অজানা মানুষের আগমনের খবর জানানো হয়। মাইকিং শোনে শত শত গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে আসলে পুলিশ স্থানীয় ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাসায় অবস্থান করছিলেন এসময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাসায় তল্লাশি চালায়। এসময় পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে মালামাল তছনছ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে পুলিশ চলে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। এ সময় আসামি না পেয়ে চলে আসি।
এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার ফেইসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় ও স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, তার বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং তল্লাশি চলাকালে মসজিদের মাইকে যে ঘোষণা দেয়া হয় সেটা আপলোড করা হয়। তল্লাশী চলাকালে নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন।
ড. রেজা কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, আমাকে হয়রানী করার জন্যই এই তল্লাশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।