পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের টেনশন তত বাড়ছে। শেষ মুুহূর্তের প্রচারণায় নেমে পড়েছে প্রার্থী দলীয় নেতাকর্মী তাদের পুত্র কন্যা মা ভাই বোন স্ত্রী আত্মীয় স্বজন সবাই। কুয়াশা মোড়া শীতের ভোরে বের হয়ে ফিরছেন গভীর রাতে। নাওয়া খাওয়া আরাম বিশ্রাম সব শিকেয় উঠেছে। আল্লা আল্লা করে কটাদিন পার হলেই হয়। আর নির্বাচিত হতে পারলে সব দু:খ কষ্ট উবে যাবে। তাইতো প্রচারণায় নামা।
এতদিন খোঁজ খবর যোগাযোগ না থাকলেও কার কোথায় আত্মীয় স্বজন রয়েছে। সেই যোগ সূত্র খোঁজা হচ্ছে। তাদের সাথে যোগযোগ করা হচ্ছে। হঠাৎ এমন নামি আত্মীয়ের খোঁজে অনেকেই হতবাক। অনেকে প্রথমবারের মত শুনছেন তিনি তার আত্মীয় হন। যাকে বলে জোড়া জোড়া দিয়ে আর কি। যাহোক বড় নেতা যদি স্বজন হন আর কপাল গুনে যদি এমপি মন্ত্রী হয় তবে ক্ষতি কি । অবশ্য যদি নির্বাচনের পর তারা চিনতে পারে। তাইতো হাসিমুখে নয়া আত্মীয়রা জবাব দিচ্ছেন। ভোট দেবার অঙ্গীকার করছেন। ভোট এলে বোধ হয় এমনি হয়। যেমন গোপাল ভাঁড়ের গরু হারানোর শোকে স্ত্রীকে মা ডেকে বসেছিলেন। গোপালের স্ত্রী রাগে বলেছিলেন মিনসের হয়েছে কি? উত্তরে গোপাল বলেছিল বউ গরু হারালে এমনি হয়। নির্বাচনের প্রার্থীদের বেলায় এমনটি দেখা যাচ্ছে। প্রচারণার মিছিলে এক প্রার্থীর স্ত্রী নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সবাই শ্লোগান দিচ্ছিল আমার ভাই তোমার ভাই। অমুক ভাই অমুক ভাই। ভোট দিবেন ভাই কাকে অমুক ভাইকে। প্রচারণার মিছিলে ভাতিজা ছেলে ভাগিনা যোগ দিয়ে একই রকম শ্লোগান দিচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ছেলে মেয়েও বাপকে ভাই বলে ডাকছে। সামনে প্রচারণায় সবাই ভাই ভাই।
ভোটের মাঠের এমন অবস্থায় মন খারাপ হচ্ছে মৌসুমী প্রচার কর্মীদের। প্রায় মাস খানেক ধরে এসব নির্বাচনী কর্মীরা প্রতিদিনের আয়ের একটা পথ খুঁজে পেয়েছিল। যখন যে প্রার্থী ডেকেছে তখন তার হয়ে ছুটে গেছে। ভাবটা এমন ছিল প্রচার কর্মী তুমি কার ? যে টাকা দেবে আমি তার। তাদের প্রতিদিন কিছু না কিছু আয় ছিল। দুপুরের পর দল বেধে মহল্লায় মহল্লায় নেমে পড়ছিল প্রার্থীদের হয়ে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করছিল। প্রতিদিন নগদ এক থেকে দুশো টাকা আর সাথে নাস্তা। আবার মহল্লায় গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস। সেখানে বিকেল থেকে অনেক রাত অবধি চলছে আড্ডা। টাকার সাথে খিচুড়ি বিরিয়ানী সব মিলতো। মহল্লায় যুবকরা ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়ে ভীড়ে গেছে প্রার্থীর পাশে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অস্থায়ী চা সিঙ্গাড়ার দোকান গুলোয় বেচা বিক্রি ভাল। আড্ডার ছলে ভোটারদের ডেকে ডেকে চা সিঙ্গাড়া পুরি খাওয়ানোর বিলটা প্রার্থীর লোকজনই দিয়ে দিচ্ছে। পান সুপারি বিড়ি সিগারেটও দেয়া হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় শহর থেকে ছেলে মেয়েদের মাইক্রোবাসে করে নিয়ে বিভিন্ন ব্যানারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমনি নানাভাবে প্রচার প্রচারণা চলছে।
এসব প্রচার কর্মীদের জালাতনে ভোটাররা ত্যাক্ত বিরক্ত। তারা আল্লা আল্লা করছে সামনের কটাদিন পার হলে হয়। অবশ্য কিছু ভোটারের ভিন্ন চিন্তা করছে। চায়ের ঝুপড়িতে তাদের দিন রাত ভালই কাটছিল। সকাল বিকাল ফ্রি চা নাস্তা পান সিগারেট পাওয়া। জমজমাট আড্ডা। খাতির সম্মান ভালই পাচ্ছিল। ভোট শেষ হয়ে গেলেতো কেউ ফিরে দেখবেনা। খাতির সম্মানতো দূরে থাক সালামও না।
এদিকে মন খারাপ মাইক ব্যবসায়ী, অটোচালক, প্রচারকর্মী ব্যানার তৈরী ডিজিটাল কেন্দ্র ছাপাখানা ব্যবসায়ীরা। কাল থেকে প্রচার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তাদের এসব আপাতত আর লাগছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।