পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে বিতাড়নের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল সন্ধ্যায় পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা -৬ আসনের প্রার্থী এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে প্রশাসন, আইন-আদালত, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন স্বয়ং কাজ করছে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রার্থীদের উপর নৃশংস হামলা জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন একেবারেই অসম্ভব। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গনফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক।
আফ্রিক বলেন, নীলনকশার নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংবাদ যেন গণমাধ্যমে না আসে, সে জন্য পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, একসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, সরাসরি স¤প্রচার করা যাবে না-সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন এমন নীতিমালা জারির মাধ্যমে মূলত মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে গলাটিপে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশী পর্যবেক্ষকদেরও আসতে ভিসা দেয়ার বিষয়ে সরকার কূটকৌশলে বিলম্ব করছে। নির্বাচন কমিশনে এসব বাধানিষেধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করছে যে, নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনদের নীলনকশা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানোর জন্য ফোর জি থেকে টু জি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভোট কেন্দ্রে সংঘটিত নানা রকম ঘটনার সংবাদ মিডিয়ায় দ্রæত আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্টের ভরসা এ দেশের জনগণ তথা ভোটারগণ। যারা অতীতে কোনোদিন ভুল করেনি, তারা এবারও ভুল করবে না। সব ভয়-শঙ্কাকে জয় করে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষ আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ভোটযুদ্ধ সব আগ্রাসনকে মোকাবিলা করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দেশের মালিকানা জনগণ ফিরে পাওয়ার জন্য এবং আমাদের স্বাধীনতাকে অর্থবহ কার লক্ষ্যে। লিখিত বক্তব্যে সারাদেশে ঐকৗফ্রন্টের প্রার্থীদের উপর হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়। এ সময় ঢাকা-৩ আসনের প্রার্থী বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায় তার বাবার রক্ত মাখা জামা দেখিয়ে তার উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে গনফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ মো: বাদল, গণদলের গোলাম মাওলা চৌধুরী, ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।