Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি ২০ দলের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:২৬ পিএম

জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে যারা মার খায় তারাই দোষী হয়, যারা মারে তারা দোষী নয়, সরকার গণতন্ত্রকে নির্দিষ্ট গতিতে চলতে দিচ্ছে না। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিভিন্ন স্থানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয় নিজ দলের স্বার্থে কাজ করে। ইসির কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরও তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে হামলাকারীদের সাফাই গেয়েছেন। আমরা প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করছি সিইসিকে প্রত্যাহার করে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন।

তিনি বলেন, সরকার, ইসি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু তার কোনো নজির নেই, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, ঝিনাইদহ-৩ আসনের প্রার্থী ও তার স্ত্রীকে আটক করছে ডিবি। ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে পুলিশ কর্মকর্তারা গেছেন। নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ দিকে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জোটের শরিক দলের এক নেতা নির্বাচন বর্জনের পরামর্শ দিয়েছে। তবে সার্বিক আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়।

বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত জোটের এ বৈঠক চলে। এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম খান। অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ের মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • রিপন ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৭ পিএম says : 0
    সমস্যা বাহ্যিকভাবে যতটুকু মনে হয়, বাস্তবে তার চেয়েও গভীরতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে গত দশ বছরে। সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ছাড়া ব্যাপক সংস্কার সম্ভব নয়। এখন আর নিষ্ফল আহ্বাননির্ভর না থেকে, প্রয়োজনে নেতৃত্বে-সংগঠনে আন্দোলন উপযোগী রি-শাফলিং সেরে নিয়ে, জাতীয় পর্যায়ে একাত্তর নব্বইয়ের মতো এক দফাভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন গড়ে তোলার কর্মকৌশল চূড়ান্তকরণে মনোনিবেশের সময় হয়ে গেছে। মুক্তি আসবে একমাত্র ওই পথেই। ২০ দল, ঐক্যফ্রন্ট সবার জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ