Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলের গণগ্রেফতারের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:০৫ পিএম

বাংলাদেশে বহু প্রত্যাশিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র একসপ্তাহ পূর্বেও প্রধান বিরোধীদল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের অভিযোগ তুলেছে। নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার পরেও তাদের প্রায় সাত হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার এ অভিযোগ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। জোটটি অভিযোগ এনেছে যে, তারা পুলিশ ও শাসক দল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দ্বারা সহিংস আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও কর্মীরা বার বার হামলার শিকার হচ্ছেন। ফলে, তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে সমাবেশ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই এত শোচনীয় নির্বাচনকালীন অবস্থা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২২শে ডিসেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দমনমূলক আখ্যায়িত করে সংস্থাটি বলেছে, এর ফলে আসন্ন নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। পাশাপাশি, ব্যাপক নজরদারি ও বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কঠোর আইনের মতো নানা কর্তৃত্ববাদী আচরণ একটি ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রোববার তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ৫৪টি সংবাদ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দলটির প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারাগারে থাকায় তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি এ রায়কে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন। বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেছেন, বিরোধীদল হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কিন্তু এর জন্য ন্যুনতম স্বাধীনতা দরকার, যা বর্তমানে নেই। আমরা প্রচারণা চালাতে পারছি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।
বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিল। এবারো তারা অভিযোগ করছে, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দুদু বলেন, যদি কাল থেকে মাঠে কোনো পুলিশ না থাকে তাহলে নির্বাচন আরো বেশি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। পুলিশের একমাত্র কাজ নির্বাচন থেকে বিরোধী নেতাদের সরিয়ে দেয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ