পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গিদমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কোন ঘাটতি নেই। সভ্যতা ও মানবসমাজ রক্ষায় গুপ্তহত্যাকারী-জঙ্গিসন্ত্রাসী দানবদের ধ্বংস করতেই হবে। এদের পক্ষে কেউ ওকালতি করবেন না, নির্ভয়ে এদের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হোন।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে রাজধানীতে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ড. মো. আনোয়ার হোসেন রচিত ‘অনন্ত আমরা চুপ থাকব না’ প্রবন্ধগ্রন্থের পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, ব্লগার হত্যা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষিত নিয়ে লেখা এ বইটির প্রকাশনা সংস্থা ‘মত ও পথ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজয় রায়। সংসদ সদস্য শিরিন আখতার, সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাবেক সচিব ও কথাসাহিত্যিক রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, সাংবাদিক ও লেখক ইমতিয়ার শামীম আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচকবৃন্দ গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিসন্ত্রাসের সুষ্ঠু তদন্তÍ এবং যথাযথ বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালায় তাদের সাথে কখনই আপোষ হতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুপ্তহত্যাকারী ও জঙ্গিসন্ত্রাসীরা মুক্তচিন্তা ও দেশজ সংস্কৃতির শত্রু। তিনি বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, আগুনসন্ত্রাসের ঘাতক জঙ্গিচক্রই গুপ্তহত্যাকারী। এরা দেশ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবতা, দেশজ সংস্কৃতি ও ধর্মবিরোধী নরঘাতকের দল। দেশ স্বাধীন করতে যেমন হানাদার পাকিস্তানীদের বিদায় দিতে হয়েছে, তেমনি আধুনিক দেশ গড়তে গুপ্তহত্যাকারী-জঙ্গিসন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এর কোন বিকল্প আমাদের কাছে নেই।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার তরুণ, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ও শিক্ষক হত্যার ঘটনা বিশ্লেষণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগুনযুদ্ধে পরাজিত হবার পর গুপ্তহত্যার নতুন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বেগম খালেদা ও বিএনপি এখনো রাজাকার ও সন্ত্রাসী জামাতের সঙ্গে রাজনৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ। যতদিন এ চুক্তি থাকবে, ততদিনই গুপ্তহত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসী ঘটনায় তারা সন্দেহের তালিকায় থাকবে। এখনো বিএনপি-জামায়াতের ছাতার নিচেই জঙ্গি আস্তানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন রচিত বইটিতে ২০১২ সালের শেষ থেকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি অবধি সময় পর্যন্ত লেখা ১৭টি প্রবন্ধসংকলিত হয়েছে। প্রথম প্রবন্ধের নামই বইটির শিরোনাম এবং শেষ প্রবন্ধের নাম ‘আমরা সবাই এদেশের সন্তান’।
বক্তৃতার পাশাপশি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ড. শাহাদত হোসেন নীপুসহ বিশিষ্ট আবৃত্তিকারদের কবিতাসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিল্পী ডালিয়া আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।