পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসন বারণ করায় নির্বাচনী প্রচার কাজে বের হতে পারিনি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে আমাকে বারণ করা হয়েছে। সে কারণে আমি গতকাল মঙ্গলবার প্রচারে নামিনি। তিনি বলেন, আমি যে এলাককে প্রচাওে নামার কথা ছিল, তারা আমাকে সে এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে পেয়ে নিরপেক্ষভাবে নিরাপত্তা নিয়েই কাজ করতে পারবো। কিন্তু এখন দেখতেছি প্রশাসনই উল্টো মানা করে দিচ্ছে আপনারা (প্রচারে) আসবেন না।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন বের হচ্ছি, প্রতিদিন আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছি। প্রতিদিন আমার কর্মসূচিগুলো সম্পর্কে থানা এবং নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে প্রচারে অংশ নিচ্ছি। প্রতিদিন আমি হামলার শিকার হচ্ছি। আমাকে সেফ করতে গিয়ে আমার শত শত নেতাকর্মী আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমি আজকেও কর্মসূচির কথা সবুজবাগ থানা ও নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে জানিয়েছেন কোনও দায়িত্ব নিতে পারবেন না। ওই এলাকায় আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী যাবেন, সে কারণে তারা আমাকে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এরপর খিলগাঁও থানায় ফোন করলাম। তারাও যুবলীগের মিছিলের কথা বলে বারণ করলো। প্রশাসন যদি আমার নিরাপত্তা দিতে না পারে, কীভাবে প্রচারণা করবো? কারণ, প্রতিটি জীবনের তো মূল্য আছে।
আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, গণসংযোগ করে আসার পর প্রতিদিন আমার বাসাটি একটি হাসপাতালে পরিণত হয়। আমি চিকিৎসা দিতে পারি না। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা বারণ করার পর গতকাল যদি আমি বের হতাম, তাহলে দেখা যেত প্রশাসনই আমার ওপর হামলা করেছে। তাই সেই দায়িত্ব আমি নিতে চাই না, বললেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা পোস্টার লাগাতে পারছি না। ব্যানার লাগাতে পারছি না। গণসংযোগে যেতে পারছি না। কানও ব্যাপার না। জণগণের মনের মধ্যে আমাদের পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগ আছে। আমরা শুধু চাই ৩০ তারিখে যাতে সবাইকে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়। তারা যাতে রভাট দিতে পারে এবং রভাট রক্ষা করতে পারে।
প্রশাসন বারণ করলে আপনি বের হবেন না, গণমাধ্যম কর্মীদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ আমি তাদের (প্রশাসন) সুযোগ দিলাম। আমি বের হবো। আমি পুলিশকে বলেছি, আপনারাই আমাকে প্রোগ্রাম দেন, আমি কখন কোথায় যাবো। কিন্তু তাও দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ভোটে শেষ পর্যন্ত থাকার আমার দৃঢ়তা আছে। নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ দিয়েছি। বলেছি, আমি একজন নারী প্রার্থী। অন্তত আমার নিরাপত্তাটা দেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। গত রবিবার আমার ওপর সবুজবাগ এলাকায় হামলা হয়েছে। আমার দুইপাশে চারজন মহিলা পুলিশ ছিল। কিন্তু যখন হামলাটা হলো আমি কাউকে খুঁজে পাইনি। আমার নেতাকর্মীরা আমাকে আগলে রেখেছেন। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও নিজের চোখে তো সেনাবাহিনী দেখিনি। আশায় আশায় ছিলাম। কিন্তু এ পর্যন্ত খুব একটা ভালো রেজাল্ট পাইনি, আরও আক্রমণ বেড়ে গেলো। আশায় আছি দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের নিরাপত্তা দেবে এবং বাকি দিনগুলোতে কাজের সুযোগ দেবে।
বাবলা-সালাহ উদ্দিনের মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আটক ৮
ঢাকা-৪ আসনের মহাজোট প্রার্থী আবু হোসেন বাবলা ও জাতীয় ঐক্যজোট প্রার্থী সালাহ উদ্দিনের আহমদের কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৭-৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শ্যামপুর লাল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বের হন ধানের শীষের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন। তার কিছুক্ষণ পর মহাজোটের প্রার্থী আবু হোসেন বাবলার কর্মী-সমর্থকরাও একটি মিছিল বের করে। মিছিল দুটি এক পর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থান নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ফয়সাল মাহমুদ এ বিষয়ে বলেন, মিছিলটি শুরুর সময়ই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা উভয় দলের লোকজনকে প্রথমে বাধা দেই। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেননি। এক পর্যায়ে উভয়ের দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভবে ৭-৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে নবী উল্লাহর প্রচারণা
হাজারো নেতা-কর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন ঢাকা-৫ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ডেমরার বামৈল ব্রিজ থেকে এই প্রচারণা শুরু হয়। এতদিন ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের এই প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে আসলেও তাতে নেতাকর্মীদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়ত না। বিএনপি প্রার্থীর দাবি ছিল- পুলিশের ধরপাকড়ের কারণে নেতাকর্মীরা ভয়ে মিছিলে আসছে না। গতকাল সকাল ১০টায় ডেমরা সড়কের বামৈল ব্রিজ থেকে প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই ওই স্থানে নেতাকর্মীরা ভিড় জমাতে থাকেন। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসেন নবী উল্লাহ নবী। এরপর বিশাল মিছিল নিয়ে সামনে এগোতে থাকেন তিনি। মিছিলের শেষ ভাগে যেতে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এগোতে এগোতে বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষমাণ আরও ছোট ছোট মিছিল শামিল হতে থাকে।
মিছিলটি বামৈল বালুর মাঠ এলাকায় এলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নবী উল্লাহ নবী। তিনি বলেন, দেখতে পাচ্ছে আজকে হাজার হাজার লোকের মিছিল। মিছিল বিশাল আকার ধারণ করেছে। বুঝতে হবে এই আসন বিএনপির একটি ঘাঁটি। কাজেই যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আমি শতভাগ নিশ্চিত, আমি জিতব।
ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রচারে আবারও হামলা
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ঢাকা-৬ আসনের ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীর ওপর আবারও হামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গণফোরামের জনসংযোগ বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পথিক গতকাল দুপুরে ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা-৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরী গতকাল দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকার সিদ্দিক বাজারে গেল সরকার দলীয়দের হামলার শিকার হন। এসময় ১৫-২০ জনের একটি দল এসেই সুব্রত চৌধুরীসহ ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের মেবাইল ফোন সেট, ঘড়ি ও মানিব্যাগসহ যার যা কিছু পেয়েছে সব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।