পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরও বিএনপি মাঠে না নামায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে আওয়ামী লীগ। একচেটিয়া প্রচার-প্রচারণা চালালেও ক্ষমতাসীনদের শঙ্কা ছিল, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর বিএনপি মাঠে নেমে আন্দোলন সহিংসতা করা এবং নির্বাচন ভন্ডুল করারও চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সেনা মোতয়েনের পরও বিএনপি মাঠে না নামায় বেশ ফুরফুরে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া কিসের আশায় নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগেও তারা মাঠে নামছে না এ বিষয়টি বোধগম্য নয় বলেও মন্তব্য আওয়ামী লীগ নেতাদের। বিএনপির এমন বেহাল অবস্থায় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মনে করছে দলের প্রার্থী ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিরোধীদের সকল কর্মকান্ড এবং নিজেদের যেকোন পদক্ষেপ নিয়ে সতর্কাবস্থানে আওয়ামী লীগ। যাতে কোন ভুলের কারণে ক্ষমতায় যেতে সমস্যা হওয়া বা নির্বাচন বিতর্কিত না হয়। এদিকে দীর্ঘ দিন ধরেই বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে মোতয়েনের দাবি করছিল বিএনপি। দলটির ধারণা ছিল, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে এবং তারা জোরেসরে প্রচারণা চালাতে পারবে। এ নিয়ে সেনা মোতায়েনের আগের দিন বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীরা সেনাবাহিনীকে ব্যাপক অভিনন্দন জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপি তেমনভাবে মাঠে নামেনি। এ বিষয়টিকে বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, কর্মীরা সক্রিয় না থাকা ও তাদের প্রতি জনগণের আস্থা নেই বলে মনে করছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, এতোদিন বিএনপি বলেছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে এবং তাদের নির্বাচনী প্রচারে সারা দেশে জোয়ার বইবে। কিন্তু তারা মাঠে না নামায় তাদের জনভিত্তি নেই বলে প্রমাণ হয়েছে। এছাড়া কিসের আশায় নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগেও তারা মাঠে নামছে না এ বিষয়টি আওয়ামী লীগের বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি প্রার্থীরা ভোট পাবে না তাই পরাজয়ের ভয়ে তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেষ্টা করছে।
দলের সাধারণ সম্পাদকব ওবায়দুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনী কোন দলের নয়, তাই কারো বেশি উচ্ছ¡সিত হবার কিছু নেই। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে কোন বক্তব্য না দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। এছাড়া দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিজয়ের আগে জয়ী হয়েছেন মনে করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
এদিকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের বিবৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ড. কামাল অনুশাসনমূলক লিখিত যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে ভুন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা মুখী ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনের আগে দেশে বড় ধরনের একটি নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা করছে। এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় দেশের প্রতিটি মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনেই আগামী নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাইছে বিএনপি। শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াতেও পারে। তাই তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব জায়গায় নৌকার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীদের পোষ্টার নেই বললেই চলে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।