Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনা টহল বাড়ানোর দাবি নগরবাসীর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করলেও উল্লেখযোগ্য টহল চোখে পড়েনি গত দু’দিনে। রাজধানীকে আশানুরূপ টহল না দেখায় রাজধানীর সাধারন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার লোকজন হতাশা প্রকাশ করেছেন। হাজারীবাগ, খিলগাঁও, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কোতোয়ালি, ওয়ারী ও উত্তরায় অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে বসেই সময় পাড় করছেন তারা।
দনিয়া কলেজ অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে সরেজমিন গিয়েও স্বাক্ষাৎ মেলেনি ক্যাম্পে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের। তারা (কর্মকর্তা) সংবাদকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে চলছেন। জানা গেছে, হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ, দারুস সালামের বুদ্ধিজীবী মাজারের পাশে কমিউনিটি সেন্টারে ও কোতোয়ালি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়েছে সেনাবাহিনী। আর এসব ক্যাম্প থেকেও কোন টহল লক্ষ্য করা যায়নি। তবে তেজগাঁও সাতরাস্তাসহ রাজধানী কিছু জায়গায় সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গতকাল বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা ভেবেছিলাম সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদিও সেটি হয়নি। তবে আমরা এখনও আশাবাদী।
ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে দনিয়া কলেজে সেনা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে তিনি কারো সাথে দেখা করতে পারেননি। এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোন আশংকা থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মতিঝিলের ব্যবসায়ী সৈয়দ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সবুজবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা সাধারন নাগরিক আমরা আশা করেছিলাম সেনা বাহিনী নির্বাচনে মাঠে নামার পর তাদের টহল থাকলে কোন বিশৃংখলা হবে না। কিন্তু সেনাবাহিনীর টহল আশানুরূপ না থাকায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না। সাধারন মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি অনেক আস্থা। এখন অনেকেই হতাশ হয়েছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মতিঝিলে রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হচ্ছে। আগে গভীর রাত পর্যন্ত রিকশা চালাতাম। এখন বেশি রাত থাকার সাহস পাই না। মনে করেছিলাম সেনাবাহিনী মাঠে নামলে সব শান্ত হয়ে যাবে। আমরা সেনাবাহিনীর টহল বেশি দেয়ার দাবি জানাই তিনি মন্তব্য করেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সারাদেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়কে নিরাপদ যান চলাচল ও রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৩৮৯ উপজেলায় সেনা ও উপকূলবর্তী ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকছেন।



 

Show all comments
  • Mamun Ahamed ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৪ এএম says : 0
    দূর সব আবালের যুক্তি। সেনাবাহিনী যদি সত্যিই মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকতো তাহলে এই কঠিন সময়ে জনগনের পাশে দাড়াতো। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তারাও তাদের নীতি বিক্রি করে দিছে। আল্লাহ তাদের বিচার করুক।।।
    Total Reply(0) Reply
  • আলেয়া বেগম আলো ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
    প্রতিটি কেন্দ্রে দুজন করে সেনাবাহিনীর দেওয়া হো
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali Patwary ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
    সহমত প্রকাশ করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Hossain ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
    Ader maja 25 February tarikhe venge dise 100 years lagbe ay senabahini ghure darate
    Total Reply(0) Reply
  • Jashim Uddin ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ এএম says : 0
    কোন লাভ নেই, ওদের পায়ে শিকল পরা।
    Total Reply(0) Reply
  • সুমন রহ মান ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ এএম says : 0
    dhaka to akono kuno senabahini deklam na
    Total Reply(0) Reply
  • Zulfiqar Ahmed ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৭ এএম says : 0
    সেনাবাহিনী নেমে তো কোনো সুফল দেখলাম না। বরঙ আগের চেয়ে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। সুতরাঙ সেনার টহলের দাবি জানানো আহম্মকি ছাড়া কিছুই না। লাভ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • আমিন মুন্সি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৯ এএম says : 0
    সেনা টহল বাড়ালেই কি কোনো লাভ হবে। সারাদেশের সেনা নামার পর তো সহিংসতা ধরপাকড় বহুগুনে বেড়ে গেছে। যতসব,....
    Total Reply(0) Reply
  • রুবেল ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৯ এএম says : 0
    অযথা দাবি জানিয়ে সময় নষ্ট করেন না। কেননা টহল দিলেও কোনো লাভ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৩৫ এএম says : 0
    Total Reply(0) Reply
  • sukkur ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:০৭ এএম says : 0
    সত্যি এখনো আমাদের চন্দনাইশে বৈলতলী ইউনিয়নে দেখিনি।
    Total Reply(0) Reply
  • FASTBOY ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৫০ এএম says : 0
    AS SOON AS POSSIBLE সেনা টহল বাড়ানোর দাবি করছি
    Total Reply(0) Reply
  • sujon ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:০৬ পিএম says : 0
    এই সরকারকে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ পতন করতে পারবেনা। কিন্তু সরকারেরও অতিত দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যেমনটা হয়েছিলো ফেরাউনের নমরুদের অবস্থা। আল্লাহ আমাদের সহায়ক হউক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ