পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করলেও উল্লেখযোগ্য টহল চোখে পড়েনি গত দু’দিনে। রাজধানীকে আশানুরূপ টহল না দেখায় রাজধানীর সাধারন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার লোকজন হতাশা প্রকাশ করেছেন। হাজারীবাগ, খিলগাঁও, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কোতোয়ালি, ওয়ারী ও উত্তরায় অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে বসেই সময় পাড় করছেন তারা।
দনিয়া কলেজ অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে সরেজমিন গিয়েও স্বাক্ষাৎ মেলেনি ক্যাম্পে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের। তারা (কর্মকর্তা) সংবাদকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে চলছেন। জানা গেছে, হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ, দারুস সালামের বুদ্ধিজীবী মাজারের পাশে কমিউনিটি সেন্টারে ও কোতোয়ালি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়েছে সেনাবাহিনী। আর এসব ক্যাম্প থেকেও কোন টহল লক্ষ্য করা যায়নি। তবে তেজগাঁও সাতরাস্তাসহ রাজধানী কিছু জায়গায় সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গতকাল বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করবে। আমরা ভেবেছিলাম সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদিও সেটি হয়নি। তবে আমরা এখনও আশাবাদী।
ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে দনিয়া কলেজে সেনা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে তিনি কারো সাথে দেখা করতে পারেননি। এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিলে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোন আশংকা থাকবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মতিঝিলের ব্যবসায়ী সৈয়দ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি সবুজবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা সাধারন নাগরিক আমরা আশা করেছিলাম সেনা বাহিনী নির্বাচনে মাঠে নামার পর তাদের টহল থাকলে কোন বিশৃংখলা হবে না। কিন্তু সেনাবাহিনীর টহল আশানুরূপ না থাকায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হচ্ছে না। সাধারন মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি অনেক আস্থা। এখন অনেকেই হতাশ হয়েছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মতিঝিলে রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হচ্ছে। আগে গভীর রাত পর্যন্ত রিকশা চালাতাম। এখন বেশি রাত থাকার সাহস পাই না। মনে করেছিলাম সেনাবাহিনী মাঠে নামলে সব শান্ত হয়ে যাবে। আমরা সেনাবাহিনীর টহল বেশি দেয়ার দাবি জানাই তিনি মন্তব্য করেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সারাদেশে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়কে নিরাপদ যান চলাচল ও রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৩৮৯ উপজেলায় সেনা ও উপকূলবর্তী ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।