পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এমন নূরুল হুদা সরকারের আজ্ঞাবহ। তিনি সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন। সরকারের সাথে মিলে এ সিইসি নির্বাচনকে একটি প্রহসনে পরিণত করছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। নির্বাচন নয় সারাদেশে রক্তের হোলি খেলা চলছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। গতকাল রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের জরুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের উপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ হামলা করছে। ঢাকায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপর হামলা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ, ড. মঈন খান, মাহাবুব উদ্দিন খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাসসহ সারাদেশে আরও অনেক প্রার্থীর উপর হামলা হচ্ছে। সিইসি বলছে তার নির্দেশে সব হচ্ছে। তাই সব কিছুর জন্য সিইসিকে দায় নিতে হবে।
এরপর ঐক্যফ্রন্টের বিবৃতি পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে তিনি এটি পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা মামলা, নির্যাতনের বিষয়ে অবহিত করতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরোর নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা। কিন্তু আমাদের অভিযোগ শুনে সিইসি নূরুল হুদা সরকার দলীয় নেতার মত আচরণ করেছেন। এতে আরও বলা হয়, সিইসির ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা ছিল অত্যন্ত অশোভন। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তাৎক্ষণিক ক্ষোভ জানিয়ে বৈঠক বর্জন করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। প্রেসিডেন্টের কাছে আহ্বান করছি যাতে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কারণ এমন মেরুদন্ডহীন কমিশনের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা জনগণকে আহ্বান জানাব জনগণের ঐক্য গঠে তুলে জনগণের দাবি আদায় করার।
এরপর আজ প্রচারণার সময় হামলার শিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে ইসি ৭১ সালের আল বদর, আল শামস বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করতে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জনগণ যেভাবে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছে ঠিক একইভাবে ৩০ তারিখের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে। আমরা বলতে চাই রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দিব। এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বৈঠক বর্জন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বৈঠক বর্জন করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এ জন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক থেকে ওয়াকআউটের পর সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডা.জাফরুল্লাহ প্রমুখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।