পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এই মুহুর্তেই’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ চেয়ে একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সিইসি নিয়োগের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) ফ্রন্টের বৈঠকের পর ফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবির কথা জানান। ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পাশে বসিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রক্তাক্ত। এই হচ্ছে ২০১৮ সালের নির্বাচনের নমুনা। এই নির্লজ্জ্ব, অযোগ্য, অকার্য্কর নির্বাচন কমিশনকে জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে আজকে তারা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাই। এটা অবিলম্বে চাই। তা নাহলে কোনো মতেই এ্ নির্বাচনের ন্যুনতম পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
লিখিত বক্তব্য ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এমন একজন মেরুদন্ডহীন পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্ব থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করার অনিবার্য্ প্রয়োজন বলে মনে করি। আমরা অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি এবং যথার্থই একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করার জন্য মহামান্য প্রেসিডেন্টের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে আমাদেরকে বলতে হচ্ছে যে, ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃনন্দের যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রমাণ সিদ্ধ বিষয়গুলো অগ্রাহ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাষায় অভিযোগগুলো অস্বীকার করে পক্ষপাত দুষ্ট ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দিলে ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ শুধু ক্ষুব্ধ নন, বিস্মিত ও হতাশ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এমন অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিতে পারে তা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্টতই প্রমাণ হয়েছে যে এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাকে ক্ষমতাসীন সরকারের অতি বাধ্যগত একজন কর্মচারির চেয়ে আর বেশি কিছু নন। তার নিকট থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন তো দুরের কথা নিরপেক্ষ আচরন পাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্রের বিবৃতি পড়ে শুনান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখানে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। মনে হচ্ছে হোলি খেলা হচ্ছে। প্রত্যেকটি জায়গায় এভাবে আক্রমন করে আমাদের নেতা-কর্মী-প্রার্থী সকলকে রক্তাক্ত করা হচ্ছে। মহিলা পর্য়ন্ত বাদ পড়ছে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা সাহেবকে বলছি আপনি এই ঘটনা তদন্ত করুন। তদন্ত করেন কে দোষী? আপনার এই ধরনের লাঘাহমহীন অর্থাত দায়িত্ব পালন না করে সরকারকে সন্তুষ্ট করার যে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট সেই কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের লোকেরা এতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। তা নাহলে তারা এটা দেখাতে পারতো না। আমি একটা জিনিস বুঝি। একাত্তর সালের যুদ্ধে বেঁচে গেছি। ৪৭ বছর বেঁচে আছি। ৩০ তারিখের নির্বাচনকে আমি মনে করি গণতন্ত্রের যুদ্ধ। রক্ত যখন গেছে প্রয়োজনে আরো রক্ত দেবো -এই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করব, দেশনেত্রীকে মুক্ত করব।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ উর রহমান, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।