পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে -সৈয়দ আবু হোসেন (বাবলা)
সেনা নামায় ভোটাররা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন--সালাহ উদ্দিন আহমেদ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে মহাজোট (জাতীয় পার্টি) ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট (বিএনপি) পার্থীর দ্বি-মুখী লড়াই হবে। আসনটি’র জুরাইন ও মীরহাজীরবাগ এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, ৭৭টি ভোট কেন্দ্রে লাঙ্গল আর ধানের শীষের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ইসলামী আন্দোলন ও পীর ছাহেব চরমোনাই মনোনীত প্রার্থীসহ আরো কয়েকটি দল এ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনসহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী জাপা প্রার্থীর লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইছেন। পুরো আসনজুড়ে লাঙ্গলে পোস্টার আর ডিজিটাল ব্যানারে সয়লাব।
ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগসহ মহাজেটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙ্গলের পক্ষেই দিনরাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। লাঙ্গলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও বাবলা দাবি করেন। লাঙ্গলের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার অভিযোগ সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমদ বিগত বিএনপি সরকারের আমলেই এলাকার জনগণের ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়েছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ আইডিয়াল স্কুলের জমি নিজ স্ত্রী’র নামে আত্মসাৎ করেছেন। সালাহ উদ্দিন আহমদকে মিথ্যাবাদী হিসেবে উল্লেখ করে বাবলা বলেন, আমি তিন বার ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৫ আসবে ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। তিনি (সালাহ উদ্দিন) ক্ষমতায় থাকাকালে এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং স্কুল শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের গালেও চড় থাপ্পর মেরেছেন এটা দেশবাসী অবগত আছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষের প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করবে বলেও তিনি দাবি করেন।
আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটভুক্ত বিএনপির প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচনী প্রচারণা চলছে ধীরগতিতে। বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমেদ পুলিশি হয়রানির কারণে এলাকায় স্বাধীনভাবে গণসংযোগে নামতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি কয়েক দিন যাবত নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ভোট চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ধানের শীষের গণসংযোগ থেকে প্রায় ৪০ জন কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী নামায় ভোটাররা অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, জনগণ দীর্ঘ দশ বছর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। তিনি বলেন, এবার ভোটাররা ৩০ ডিসেম্বর সকাল থেকেই কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
গণসংযোগকালে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আমাকে পোস্টার পর্যন্ত লাগাতে দিচ্ছে না। বস্তায়-বস্তায় নির্বাচনী পোস্টার বাসার ফ্লোরে পড়ে রয়েছে। কিন্তু মানুষের মনের ভেতরে ধানের শীষ রয়েছে। দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তির জন্য যে আন্দোলন বা নির্বাচন, সেটাতে কামিয়াব হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছর ঢাকা-৪ আসনে কোনো উন্নয়ন হয়নি, তবে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও শ্যাপুর শিল্পাঞ্চলসহ সর্বত্র চাঁদাবাজির উন্নতি হয়েছে। সাবেক এমপি বাবলার ভাগ্নে মাসুদ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস করে এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করেছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারলে বাবলার জামানত পর্যন্ত থাকবে না।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮ এবং ৫৯ ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-৪ আসন। শ্যামপুর, জুরাইন, পোস্তগোলা, কদমতলী এলাকার এ আসনটির মোট ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯শ’ ৮ জন।
আসনটিতে ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীকধারী দুই প্রার্থী ছাড়াও হাতপাখা প্রতীকে লড়ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর চরমোনাই পীর সাহেবের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। হাত পাখার প্রার্থী মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও বিএনপি’র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। তারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করে মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, এবার এই আসনে হাত পাখা বিজয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া গোলাপ ফুল প্রতীকে মো.আজাদ মাহমুদ, মিনার প্রতীকে শাহ আলম, মশাল প্রতীকে হাবিবুর রহমান শওকত, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের সহিদুল ইসলাম মোল্যা, আম প্রতীকে সুমন কুমার রায় ও কুলা প্রতীকের মো.কবির হোসেন প্রচারণার মাঠে নেই বললেই চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।