পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হামলা-মামলা-হয়রানিতে অনেক প্রার্থী
একাদশ সংসদ নির্বাচনে হামলা, মামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘে্ন নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটি বলছে, ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সহিংসতার কারণে ভোটারদের মধ্যে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এখনো সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সবাই শঙ্কিত।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে সুজন। সংস্থাটি জানায়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা এখনও সৃষ্টি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা সংলাপের আহŸান জানিয়ে আসছিলাম। দেরিতে হলেও সংলাপ হয় তবে সমঝোতা হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। কিন্তু প্রচারণায় হামলা, বাধা ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘেœ প্রচারণা চালাতে পারছেন না। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে ভোটাররা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। ভোটাররা যদি অবাধে ভোটকেন্দ্রে যদি না যেতে পারেন তাহলে সে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না। সে নির্বাচনকে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যাবে না। বদিউল আলম বলেন, এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে মোট ৬৬ জন নারী প্রার্থী ৬৭টি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ৬৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এসব প্রার্থীর মধ্যে স্বল্প শিক্ষিত বা এসএসসির কম শতকরা ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৪২১ জন)। মাধ্যমিক গন্ডি না পেরানো প্রার্থীর হার ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ (২৬৬ জন)। প্রার্থীদের মধ্য ব্যবসায়ী রয়েছেন ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ বা ৯৬১ জন। আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাত্র ৮ শতাংশ বা ৫৬ জন। প্রার্থীদের মধ্যে মামলা আছে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩১৩ জন। এদের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের মধ্যে রয়েছে ১৭৭ জন। আর মহাজোটে রয়েছে ২০ জন। অতীতে মামলা ছিলো ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৪২২ জনের বিরুদ্ধে। কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ১৩৬ জন প্রার্থীর। বছরে ৫০ লাখের বেশি আয় করেন ২২৩ জন। ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় ৯৫১ জনের। মহাজোটের ৭৮ জন প্রার্থী বছরে কোটি টাকা আয় করে। আর ২০ দলীয় জোটে এ সংখ্যা ৩৬ জন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।