পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানি-লন্ডারিং, মানুষ খুন, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট ছাড়া মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। জনগণ যে তিমিরে সেই তিমিরেই ছিলো। কিন্তু বিএনপি নিজেদের ভাগ্য গড়েছে; মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা পরপর দুবার ক্ষমতায় থেকে দেশ ও জনগণের ব্যাপক উন্নতি করতে পেরেছি। মানুষের ভাগ্য গড়েছি। দেশ ও জনগণের ভাগ্য গড়াটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
গতকাল দুপুরে কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অন্যান্যের দক্ষিণের প্রার্থীরা ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন।
শেখ হাসিনা বলেন, পানি, বিদ্যুৎ সঙ্কটসহ নানা অনিয়মের কারণে বিএনপি আমলে তাদের সংসদ সদস্যরা (এমপি) ‘জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালাতো’। তিনি বলেন, অসহনীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো। যেজন্য আপনারা জানেন বিএনপির এমপিরা জনগণের রুদ্ররোষে পড়েছিলো। জনগণের ধাওয়া খেয়ে বিএনপির এমপিরা পালাতো। যার জন্য এক এমপির নামই হয়ে গেল দৌড় সালাহউদ্দিন। কারণ জনগণ তাদের ধাওয়া দিয়েছিলো। পানি দিতে পারেনি, বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। এই অবস্থা ছিলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঢাকা শহরেও অভাব ছিলো। পানি ছিলো না, পানির জন্য হাহাকার ছিলো। লোডশেডিং-ই বেশি থাকতো। বিদ্যুৎ ছিলো না। রাস্তা-ঘাটের করুণ অবস্থা ছিলো। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খারাপ ছিলো। শেখ হাসিনা বলেন, পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসায় আজকে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। মানুষ সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে। সেইভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি।
নৌকায় ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করুন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন আসনে নৌকা ও লাঙল প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য ভোট চান শেখ হাসিনা। ঢাকা-৬ আসনের মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় শেখ হাসিনা বলেন, কাজী ফিরোজ রশিদ এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। এখন জাতীয় পার্টি করেন। তিনি আমাদের মহাজোটের প্রার্থী। তাকে লাঙল মার্কায় ভোট দেবেন। আগামীতে লাঙলের প্রার্থীদেরও নৌকায় তুলে নেব।
নির্বাচিত হতে পারলে বেশ কিছু উন্নয়নের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের কোনও মানুষ আর দরিদ্র থাকবে না। মানুষের জীবনমান কীভাবে উন্নত হয় সেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরো ঢাকা শহর ঘিরে এলিভেটেড রিং রোড তৈরি করা হবে, ঢাকা শহরে পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে, ঢাকা শহরের চারপাশের নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে, যারা খাল দখল করছে তাদের দখল কাজ বন্ধ করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কামরাঙ্গীরচরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অবহেলিত কামরাঙ্গীরচরকে অবকাঠামোগতভাবে উন্নত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতায় গেলে ঢাকাবাসীর চিকিৎসার সুবিধার্থে ঢাকা মেডিকেলকে আরও ঢেলে সাজাবো। শিক্ষার সুযোগ তৈরির জন্য এই ঢাকায় আরও ১১টি সরকারি স্কুল এবং কলেজ তৈরি করে দিচ্ছি। আর সারা বাংলাদেশ নিয়ে তো আমার প্ল্যান আছেই। সব এখানে বলা সম্ভবও না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।