Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে সশস্ত্র বাহিনী : সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাসদস্যরা মাঠে নামায় ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সেনাবাহিনী মোতায়েন করায় ভোটারদের আস্থা ফিরে আসবে এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবেন বলে জানান সিইসি। 

গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলমান ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারাদেশে বিএনপির প্রার্থিদের ওপর যে হামলা হচ্ছে সেনা মোতায়েনে তা বন্ধ হবে কিনা প্রশ্নে সিইসি বলেন, অবশ্যই বন্ধ হবে। যাতে নির্বাচনের মাঠে কোনো ধরনের সহিংসতা, হাঙ্গামা না হয় সেজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন সব হামলা, সহিংসতা বন্ধ হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা যেকোনো ধরনের দায়িত্ব পালন করবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। নির্দেশনা মতে তারা দায়িত্ব পালন করবে। সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। সিইসি আরও বলেন, এ সুযোগে আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করি, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবল নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে নিবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করি। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সবকিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে। সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, তখন তারা নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সেই পরিস্থিতি সংযত করবে। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদের সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ইভিএমের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ছয়টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর প্রত্যেকেই এখন জানেন, কীভাবে ইভিএমে ভোট নিতে হয়। সিইসি বলেন, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ গুরুত্ব দিতে গিয়েই ইসি সীমিত সংখ্যায় মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনো যারা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন, তাদের বলি আপনারা ছয়টি আসনে চলমান প্রশিক্ষণে আসুন। সবকিছু ভালোভাবে জানুন, বুঝুন। ইভিএম বিষয়ে সিইসি বলেন, ইভিএমের দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তাদের সহযোগিতায় থাকবে সেনাবাহিনীর সদস্য। ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলব। এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার বিষয়। ডিএমপি এসব ভালোভাবে বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না, কোনো আশঙ্কা আছে কি না, আমি তা আলাপ করে দেখব।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। ১ লাখ ২০ হাজারের মতো ফোর্স থাকছে এ বাহিনীর। উপজেলা থেকে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে তারা। দশম সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য ১৫ দিনের জন্য ভোটের আগে-পরে নিয়োজিত ছিল। এবার ভোটের মাঠে বিভিন্ন বাহিনীর ৮ লাখ ফোর্স এবং ৪ হাজারের বেশি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ