Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুখ এক কথা দুই

ইনকিলাব রিপোর্ট | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচনের মাঠে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী নামার পরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল সোমবার রাজধানীতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শন শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আস্থা ফিরে আসবে। এই উদ্দেশ্যেই আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সিইসির এই মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের ঢেউ শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে এই তো গত সপ্তাহের শেষ দিকেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে এমন কথা সিইসি বলেছিলেন। সেনাবাহিনী নামার পরের মন্তব্যে একটা বিষয় খোলাসা হলো যে আগে ভোটারদের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল।
পরিবেশ কতদূর
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখনো সৃষ্টি হয়নি। দেরিতে হলেও সংলাপ হয়েছে। তবে হয়নি সমঝোতা। হামলা, বাধাদান ও হয়রানির কারণে এখনো অনেক প্রার্থী নির্বিঘেœ প্রচার চালাতে পারছেন না।
হৃদয়ে জায়গা
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান প্রচার-প্রচারণা নিয়ে সরল উক্তি করেছেন। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমাদের পোস্টার ছিড়–ক, ব্যানার পুড়িয়ে দিক তাতে কোনো সমস্যা নেই। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘেœ শুধু ভোট দিতে পারলেই হল। এতেই আমাদের জয় নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, সারাজীবন মানুষের পাশে ছিলাম। মানুষ আমাকে তাদের হৃদয়ে জায়গা করে দিয়েছে। আমি নোমানকে চেনাতে কোনো পোস্টার-ব্যানার লাগবে না।
নার্ভের লড়াই
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন আসছে রোববার ৩০ ডিসেম্বর আমাদের নার্ভের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যত বাধাই আসুক, নির্বাচন নামক ওই লড়াই হচ্ছে আমাদের বুদ্ধির লড়াই, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই।
চৌদ্দ শিকেই ভরসা
রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এমদাদুল হক ভরসা বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করা না হলে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন। গতকাল রংপুর শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা হিংসা বিদ্বেষ চাই না। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের চাওয়া। অথচ সরকার পক্ষের লোকজন ও প্রশাসন প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, অফিস ভাঙচুরসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিয়ে মিলছে না কোনো প্রতিকার।
খালা আম্মা ও পহেলা পেয়ার
সামনে ও পিছনে মাইক লাগিয়ে রিকশা ছুটে চলছে। মাইকে বলা হচ্ছে, ‘খালা আম্মা বলে যাই...মার্কায় ভোট চাই।’ এরপরই পুরেনা দিনের হিন্দি গান ‘লেকেন পহেলা পহেলা পেয়ার...।’ মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় চায়ের স্টলের সামনে জটলা করে বয়স্ক কয়েকজন গরম চায়ের কাপে চুমুক দেন। তাদেরই একজনের মন্তব্য খালা আম্মার সাথে পুরনো দিনের হিন্দি গানের কি সম্পর্ক? আর শুধুমাত্র খালা আম্মার ভোটেই কি জয় নিশ্চিত?

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ