পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধানের শীষে দু‘দিনে ৪ মামলা শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতারে বাড়ছে ক্ষোভের জ্বালা
বাধাহীন পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন মহাজোটের আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। যেমন খুশি তেমনিভাবে চলছেন তারা নির্বাচনী মাঠে। ক্ষেত্র বিশেষে তৃণমূল সাধারণ ভোটারদের তোয়াক্কাও করছেন না অনেক প্রার্থী। শুধু তাই নয়, দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করার ঘটনাও ওপেন সিক্রেট। নিজেদের দায়সারাভাবে মাঠে ব্যস্ত রাখতে চাইছেন প্রার্থীরা। জয়ের নিশ্চয়তা তাদের চোখে-মুখে। পরাজয়ের কোন আলামতই নেই তাদের মধ্যে, বরং আনুষ্ঠানিক জয় ঘোষণার প্রহর গুণছেন তারা। এতে অবাক হচ্ছেন, খোদ দলের ঘনিষ্ট নেতাকর্মীরাও। নির্বাচনী খেলায়, প্রতিপক্ষ নিয়ে এমন ভালেশহীন আচরণ এবারই প্রথম দেখছেন তারা। এমন ঘটনাও ভোটের মাঠে ভাসছে, ভোট পর্যন্ত খুঁজতে ভুলে গেছেন নৌকার প্রার্থীরা। গণসংযোগ পথসভায় উন্নয়ন ও নিজেদের পক্ষে ঢাকঢোল পেঠানোর মাধ্যমে ইতি টানছেন নিজের বক্তৃতার। তারপরও দে ছুট করে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন নির্ধারিত গণসংযোগ, পথসভায়। এভাবে রুটিন কাজের মাধ্যমে নিজদের ব্যস্ত রাখছেন।
অন্যদিকে বিরোধী দলে চামড়ায় শীতেও ঘাম ঝরছে। কপালে উদ্বেগ-আতঙ্কের ভাঁজ। ভোটারদের ফেইস করার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর। সাদা পোষাকের লোক দেখলেই কেঁপে উঠছে অন্তরাত্মা। পরিবারের সদস্যরাও শান্তিতে নেই। দফায় দফায় বিভিন্ন বাহিনীর নজরদারীর মধ্যে দিন গুণছেন নির্বাচনের। অনেকে ভোটের মাঠে নিষ্ক্রিয় হয়েও পার পাচ্ছেন না। হাত-পা গুটিয়ে রক্ষা হচ্ছে না তাদের। নেতাকর্মী তো দূরের কথা খোদ প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গ্রেফতার আতঙ্ক। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদির জানিয়েছেন, সাদা পোষাকধারী সদস্যরা ৩ দফা গ্রেফতারের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে তাকে।
কোনরূপ প্রচারণার সুযোগও দেয়া হয়নি গতকাল। গত দু’দিনে মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ, জালালাবাদ, এয়ারপোর্ট ও দক্ষিণ সুরমা থানায় আরো ৪টি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানায় বিএনপির ৫৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি কর হয়েছে। শাহপরাণ থানার গায়েবি মামলায় খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাজাহারুল ইসলাম ডালিমসহ শতাধিক নেতকার্মীকে আসামী করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সাদা পোষাকে গতকাল সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করতে গেলে জনতার প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। দু’দিনে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মুফতি বদরুন নুর সায়েক, হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আজির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ওলিউর রহমান ডেনি, মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ১৬ নম্বর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুম্মান আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল আহমদ, যুবদল নেতা গাজী লিটন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মীর্জা জাহেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ ঘোষ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ প্রমুখ। গ্রেফতারের ধারাবহিকতা ছাড়াও প্রতিটি সেন্টার কমিটির সভার পরপরই পুলিশ ঐ এলাকায় হানা দিয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাদেরকে না পেয়ে ৩০ তারিখে এলাকায় না থাকার জন্য পরিবারকে হুমকী দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন, টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ আহমদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ, এমন অভিযোগ এখন সিলেট-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদিরের। এছাড়া জেলার বাকী ৫টি আসনেও বিরোধী দলীয় প্রার্র্থীর কর্মী-সমর্থকরা রয়েছেন প্রচÐ চাপে। মহা টেনশনে নির্বাচনী পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন তারা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সর্বত্র এখন থমথমে অবস্থা। হিংসা-প্রতিহিংসার উত্তাপে চাপ ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।