Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা -ঐক্যফ্রন্টকে সিইসির আশ্বাস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১২ এএম | আপডেট : ১:১৬ এএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

 নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সিইসির সঙ্গে দেখা করলে তিনি এই আশ্বাস দেন।
সিইসির কাছে নজরুল ইসলাম খান জানতে চান নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন জনসভা করতে পারবে না। বিএনপি নেতার এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ২৭ ডিসেম্বর জনসভা করার অধিকার বিএনপি রাখে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনবিএনপি নেতারা সিইসির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সমাবেশের বিষয়ে লিখিত দেন। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনার পর নেতারা বের হন। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ব্রিফ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রথা অনুযায়ী নির্বাচন ঘনিয়ে এলে শেষ দিকে সব দল বড় জনসভা করে। সে অনুযায়ী বিএনপি ২৭ ডিসেম্বর সভা করতে চেয়েছিল। নজরুল ইসলামের দাবি ডিএমপি কমিশনার তাদের জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় আর জনসভা করা যাবে না। অথচ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় জনসভা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পর আর কেউ জনসভা করতে পারবে না, এটা বিমাতাসুলভ আচরণ এবং উদ্দেশ্যমূলক। বিষয়টি নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার শামিল। নজরুল ইসলাম খান জানান, তারা সিইসিকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। সিইসি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সিইসি বলেছেন, বিএনপি ২৭ ডিসেম্বর সভা করার অধিকার রাখে।
বিএনপি নেতারা সিইসির কাছে নানা অভিযোগও তুলে ধরেন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম ২ আসনের প্রার্থী আজিমুল্লাহ বাহারের ওপর আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা, নোয়াখালী-৪ আসনে মো. শাহজাহানের ওপর পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা, দেবীদ্বার সার্কেল এসপির ভয়ভীতি দেখানো এবং মুরাদনগরের ওসির দলীয় নেতাদের মতো আচরণ প্রভৃতি।
নজরুল ইসলাম খান আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন সুনাম রক্ষার স্বার্থে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মর্যাদার প্রতীক। তাদের আশা নির্বাচনে এ বাহিনীর সদস্যরা নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করে দেশের মর্যাদা বাড়াবেন।

 

 



 

Show all comments
  • Milton Milton ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 1
    Freedom is the Birthright of a Man Nation. If it is dishonoured we should take it as the dishonour of dignity as a Man or Nation.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ