পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুরের পুত্রবধূ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন হবে উন্নয়নের নির্বাচন। আমি আর কিছুই চাই না, আপনাদের দোয়া চাই। বাকি জীবনটা দেশের মানুষের সেবা করে যেতে চাই। এ জন্য আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। এবারের নির্বাচনেও নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। নৌকার বিজয় হবেই। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা উন্নত জীবন উপহার দেব। তিনি গতকাল বিকেলে রংপুুরের পীরগঞ্জে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে নিজের মেয়ে উল্লেখ করে বলেন, আমার মেয়ে শিরিনকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম।
আপনারা তাকে দেখে রাখবেন, সহায়তা করবেন। শিরীন নির্বাচিত হলে তাকে আমরা আবারও স্পিকার করতে পারব। জয় এবং পুতুলের মত শিরিনও আমার মেয়ে। আমি পেছন থেকে তাকে সাহায্য করে যাব। জয় এবং পুতুল ইতোমধ্যে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছে। শিরীন আগে থেকেই আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা শিরীনকে সবসময় পাশে পাবেন। সে যেভাবে কাজ করছে আমি হলে অতটা পারতাম না। কারণ আমার সারা দেশ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। তাকে ভোট দেয়া মানে আমাকে নৌকায় ভোট দেয়া। পীরগঞ্জে আপনারা আমাকেই ভোট দেবেন। শুধু ব্যালটে থাকবে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পীরগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য আমি একটা মাস্টার প্ল্যান করতে বলেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিগত বছরে আমরা দেশের যে উন্নয়ন করেছি, তা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে আছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর রংপুরের, পীরগঞ্জের যে উন্নয়ন করেছি, তা বিগত আর কোন সরকারের আমলে হয়নি। বিগত দিনে রংপুর শুধু বঞ্চিতই ছিল। তিনি পীরগঞ্জের উন্নয়নে শিরীন শারমিনকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান, সব ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। কৃষকদের সার ও বীজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এটা হয়েছে একমাত্র আপনারা বার বার নৌকায় ভোট দিয়েছেন সেই কারণে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে একটি জমিও অনাবাদী থাকবে না। প্রতিটি উপজেলায় ৫শ’ ৬০টি আধুনিক মসজিদ করা হবে। তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে এ অঞ্চলে আরও উন্নয়ন করার প্রতিশ্রæতি দেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে জোট করেছে বিএনপি। এই বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা দানব। ধানের শীষের লোকদের গায়ে মানুষ পোড়ানোর গন্ধ। তাদের ভোট দেবেন না। ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি-লুটপাট। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে, তার ছেলে (তারেক রহমান) পলাতক। তারা দেশবাসীকে কী দেবে?
তিনি বলেন, যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি, সেজন্য নৌকায় ভোট চাই, দোয়া চাই। তারুণ্যের কাছে ভোট চাই, মা-বোনের কাছে ভোট চাই। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা উন্নয়ন করবো, উন্নত জীবন দেব আপনাদের।
উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আরও একবার ক্ষমতায় আসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা কেউ রোধ করতে পারবে না। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কেউই এ উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না। তিনি নৌকায় ভোট দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়ার জন্য এ অঞ্চলের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহŸান জানান।
এর আগে তিনি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তারাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে অপর এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করেন।
দিনাজপুরের বিভিন্ন পথসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
মাহফুজুল হক আনার ও মো. আবু শহীদ, দিনাজপুর থেকে জানান, দিনাজপুরের বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যদি উন্নয়ন চান তবে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। ২০০৮ সালের দেয়া ইশতেহার পূরণ করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিলে আমরা আবার সরকার গঠন করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। আমরা সরকারে না আসলে এই উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা আর এতিমের অর্থ আত্মসাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না চাইলে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো সরকার গঠনের সুযোগ দিন। আমরা ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোড মডেলে পরিণত করেছি।
তিনি উত্তারাঞ্চলের পীরগঞ্জ থেকে দিনাজপুর অভিমুখে সড়ক পথে যাত্রাকালে গতকাল রোববার নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুর-৬ আসনের নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, দিনাজপুর-৫ আসনের ফুলবাড়ী, ও দিনাজপুর-৩ আসনের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্ধারিত পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সকল পথসভায় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক দিনাজপুর-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইকবালুর রহিম এমপি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আগমনের পূর্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,আমরা সরকারে এসে ১০ বছরে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়বো। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে ৩০ তারিখের নির্বাচনে পুনরায় নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো দেশ বিনির্মাণে সহযোগীতা করুন।
নির্বাচনী পথসভা সফল করতে বিকেল থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নবাবগঞ্জ, ফুলবাড়ী, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর ও দিনাজপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে পথসভা স্থলে সমবেত হয়। বেলা গড়ার সাথে সাথেই পথসভা স্থলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে পথসভা স্থল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।