পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) সদস্যদের দিয়ে ৩০০ আসনের প্রতিটিতে এবং প্রতিটি পোলিং বোথে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শুনানি হতে পারে আজ (সোমবার)।
রিটে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতা কেন অসংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশের সব কেন্দ্রে সেনাবাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিটকারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। রিটে ২০ বা ১৪ দল নামে জোট গঠন করে নির্বাচন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ১৪ দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০ দলের পক্ষ বিএনপি মহাসচিব, রাশেদ খান মেনন, মির্জা আব্বাসসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তিনি (ইউনুছ আলী আকন্দ) আইনজীবী ও ঢাকা-৮ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের অনুযায়ী জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অবৈধ। কারণ দুই দলের সভাপতি মিলে প্রচার প্রচারণা চালায়। এখানে কে কোন দলের সভাপতি সম্পাদক তার কোন চিহ্নিই থাকে না। তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ১১৮ এবং ১২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের জনবল দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকারী কর্মচারী দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করছে। যা সংবিধান পরিপন্থী। রিটের যুক্তিতে তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের পর কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হচ্ছে না, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে তত্বাবধায়ক সরকার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে দেশের জনগণের ভোটার আইডি তৈরীর কাজে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছিল। পরে সেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ভোটার আইডি তৈরীর কাজ করেছিল সেনাবাহিনী। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোমবার রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।