পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯ আসনে নৌকার জমজমাট প্রচারণা চলছে। বাধাহীন প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীদের স্বজনেরাও। প্রার্থীদের প্রায় সবাই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এমপি। তাদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন মেয়র, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। হেভিওয়েট এসব নেতাদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে সরব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরাও। নানা আয়োজনে নৌকায় ভোট চাইছেন সবাই। ব্যানার, পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে মহানগরী থেকে শুরু করে গ্রামের অলিগলি। ডিজিটাল প্রচারেও এগিয়ে সরকারি দলের প্রার্থীরা।
বিরোধী দল তথা ধানের শীষের প্রার্থীরা শুরু থেকেই প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করলেও ব্যতিক্রম নৌকার প্রার্থীরা। যখন যেখানে খুশি পথসভা করছেন তারা। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং। নৌকার প্যারোডি গানের সুরে মাতোয়ারা চারিদিক। পোস্টার ব্যানারের পাশাপাশি নির্বাচনী ক্যাম্প নগর এবং গ্রামজুড়ে। ট্রাকে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ বানিয়ে চলছে ভোটের প্রচার। ঢাকা থেকে আসা তারকারাও টানা দুইদিন এ অঞ্চলে নৌকার পক্ষে ভোটের প্রচার চালিয়ে গেছেন।
নির্বিঘেœ ভোটপ্রচারেও স্বস্তিতে নেই প্রার্থীদের অনেকে। আর তাই ভোটারদের সমর্থন পেতে নানা কৌশল গ্রহণ করছেন তারা। মহাজোটের প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। যেখানে লোক সমাগম বেশি সেখানে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সাথে থাকছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। নগরীর তিনটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাথে রাখছেন। পেশাজীবীরাও নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে সরব হয়েছেন। দিন যতই যাচ্ছে ততই গতি আসছে নৌকার প্রচারে। সামনের আর কয়টি দিন এ প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানান প্রার্থীরা।
গত ১৯ ডিসেম্বর নগরীর লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই পরিচিতি সভার মধ্যদিয়ে প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ হয়। শেষ সময়ে বিরামহীন প্রচারে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন মহাজোটের শরিকদের ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তিনটি আসনের একটি চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এছাড়া চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে তরিকতের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এবং চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে জাসদ একাংশের নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল নৌকায় নির্বাচন করছেন। তিন পার্বত্য জেলায় নৌকার প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
এ অঞ্চলের ১৯টি আসনের প্রায় সবকটিতেই বর্তমান এমপিদের মনোনয়ন দিয়েছে মহাজোট। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নতুনমুখ প্রার্থী দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ আসনে ভোট হবে ইভিএমে। তরুণ প্রার্থীর আসনে ডিজিটাল ভোটে প্রচারণাতেও আছে নতুনত্বের ছোঁয়া। ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তরুণ এ ব্যারিস্টার। পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর গৌরবময় রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে পুঁজি করেই মাঠে নামেন তিনি। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়েওঠা নবীন এ প্রার্থীকে তাই ভোটারদের কাছাকাছি যেতে বেগ পেতে হচ্ছে না। অন্যদিকে তার প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির নতুন মুখ প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন কারাবন্দি। ফলে ভোটের প্রচারে নানা দিক থেকে সুবিধা পাচ্ছেন নওফেল।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন লড়ছেন চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে। ১৯৭০ সাল থেকে নির্বাচনের মাঠে আছেন তিনি। প্রবীণ এ নেতা ভোটারদের সমর্থন পেতে ছুটছেন অবিরাম। ভোটের প্রচারে তার সঙ্গী হয়েছেন ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরাও। মহাজোটের হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন দিনভর প্রচারণায় ব্যস্ত থাকছেন।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের প্রার্থী এম এ লতিফ ছুটছেন ভোটারের ঘরে ঘরে। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের প্রার্থী মঈনউদ্দিন খান বাদল বয়সের ভারে ন্যুজ। এরপরও খোলা ট্রাকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভোট চাইছেন তিনি। নগরীর তিনটি আসনে নানা কৌশলে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে নৌকার পক্ষে মাঠে নামছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভোটের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেন্দ্রীয় প্রচারসেলের প্রচারণায়ও সময় দিচ্ছেন তিনি।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আবু রেজা নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মোস্তাফিজুর রহমান প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। চট্টগ্রাম-৩ (স›দ্বীপ) আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে দিদারুল আলম এবং চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নৌকা মার্কায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নৌকার পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও সমমনা সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পেশাজীবী সংগঠনের ব্যানারেও নৌকার পক্ষে প্রচারণা চলছে। চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, শিক্ষক থেকে শুরু করে মিডিয়া কর্মীরাও নৌকার প্রচারে সামিল হচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।