পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃহত্তর নোয়াখালীর ১৩টি আসনের মধ্যে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র মহিলা প্রার্থী আয়েশা ফেরদাউস ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার নির্বাচনী গণসংযোগে নারী পুরুষ নির্বিশেষে শত শত মানুষ ভিড় করছে। আদর্শ গৃহিনী থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অবশ্য যাত্রাটা সুখকর ছিলনা তার। বিপুল জনপ্রিয়তা সত্বেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন প্রশাসন কারচুপির মাধ্যমে আয়েশা ফেরদাউসকে পরাজিত করে। পরে হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সকল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হলেও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌস ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।
বিগত পাঁচ বছর বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী হাতিয়া উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঝড় জলোচ্ছাসসহ আপদকালীন সময় সার্বক্ষণিক হাতিয়াবাসীর পাশে ছিলেন আয়েশা ফেরদাউস এমপি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে দূর্গম চরাঞ্চলে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান তিনি। যেখানে সমস্যা সেখানে ছুটে গেছেন তিনি। প্রশাসনকে সাথে নিয়ে দূর্গত মানুষকে যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। শত শত গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছেন। এছাড়া নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও অর্থ দান করেছেন অসহায় মানুষকে। বিনিময়ে হাতিয়াবাসীও তাকে নিরাশ করেননি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনগণ নৌকা মার্কা প্রার্থীদের জয়ী করে আসছে।
আয়েশা ফেরদাউসের মিডিয়া সূত্র জানায়, ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে হাতিয়ায় ০.৮ কিলোওয়াট বিদ্যুতের স্থলে বর্তমানে ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গ্রামগঞ্জ ও হাটবাজারে সৌর সিস্টেমে বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। হাতিয়ার রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। বিশেষ করে নলচিরা নদীঘাট থেকে জাহাজমারা পর্যন্ত পাকা সড়ক করা হয়েছে। কমিউিনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে এ যাবত ১০ হাজার গর্ভবতী নারীকে সেবা দেয়া হয়েছে। হাতিয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এখানে শিক্ষার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাকাভবন নির্মিত হয়েছে। ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল ও ইউনিয়ন কমিউিনিট ক্লিনিকগুলোতে জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চতকরণ হয়েছে। মেঘনা নদী ও দক্ষিণের সাগরে নৌদস্যু মুক্ত করা হয়েছে। যার সুবাদে প্রতিদিন হাজার হাজার নৌকা ট্রলার নিরাপদে মৎস্য আহরণ করছে। হাতিয়া তমরদ্দি নৌঘাটে পল্টুন স্থাপনসহ যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত। আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবাদে এখানে কৃষিতে সর্বোচ্চ ফলন উৎপাদিত হয়েছে।
নৌকা মার্কা প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌস ইনকিলাবকে জানান, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি হাতিয়া উপজেলার দুইটি বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপ্রদান করবেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নদীভাঙন রোধ এবং অপরটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে হাতিয়ায় নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতিয়ার স্বর্ণদ্বীপ ও ভাষানচরকে উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন। এ জন্য হাতিয়াবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী হাতিয়া নদীভাঙন রোধ ও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চিত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।