পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের মাঠে ভোট চাই ভোটারের। দোয়া চাই সকলের। এটি একটি নির্বাচনী শ্লোগান। সারা বছর খবর না থাকলেও ঠিক নির্বাচনের সময় এলে প্রবীণদের কাছে দোয়া নেবার হিড়িক পড়ে যায়। কদর বাড়ে এলাকার মুরব্বী, মাতব্বর, ইমাম খতিব, মাওলানা সাহেবদের। দোয়া নেবার জন্য দলবল নিয়ে প্রার্থী ছুটে যান। এদের কাছে আর্শীবাদ দোয়া, নেবার ব্যাপারটি দোষের কিছু নয়। বরং মুরব্বী আলেম ওলামাদের দোয়া নিয়ে কাজ শুরু করা ভাল। তবে তা হতে হবে আন্তরিকতাপূর্ণ। কিন্তু নির্বাচন এলে দোয়া নেবার যে হিড়িক পড়ে তা থাকে উদ্দেশ্যপূর্ণ। লোক দেখানো, আন্তরিকতা বিহীন। এ সময় মা, নানী, খালা, বাবা, চাচা, চাচী যাকে যেমন ভাবে ডাকা যায় সেভাবেই ডাকে। ডাক থাকে সুমধুর। যেন কত আপনজন। এত ভাতিজা আর নাতি নিয়ে রীতিমত বিরক্ত বিব্রত মুরব্বীরা। তার উপর আবার দুয়ারে হাটে বাজারে হাজির। সামনে পেলেই হলো। একেবারে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরা। মুরব্বী নানা চাচী খালাদের হাত মাথায় টেনে নিয়ে বলছেন আমার জন্য দোয়া করবেন। প্রকাশ্যে বুকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত রেখে দোয়া নেবার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে সাধারণ মানুষ সাময়িকভাবে হলেও প্রার্থীর উপর স্বাভাবিভাবে দুর্বল হচ্ছেন। প্রাডো পাজারো গাড়ি হাঁকানো সুট্যেড বুটেড মানুষটি কিনা সাধারণ মানুষের পা ছুয়ে সালাম করে দোয়া চাইছে। অন্য সময় যাদের গাড়ির চাকার ধুলো কাদা কখনো এসব মানুষের গায়ে ছিটকে আসে। তারা এখন এমন আচরণ করছে সেকি কম কথা। অপেক্ষাকৃত ময়লা কাপড় পড়া ঘামে ভেজা শরীরের মানুষকে জড়িয়ে ধরে জানান দিচ্ছেন আমি তোমাদেরই লোক। একদিকে ঘামে ভেজা শরীর আর প্রার্থীর কাপড়ের দামী সুগন্ধ সব একাকার হয়ে যাচ্ছে। সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান এসব দৃশ্য তুলে পাঠিয়ে দিচ্ছে গণমাধ্যমে। প্রার্থীদের এমন অবস্থা দেখে ঠোট কাটারা বলছেন........বাবারে ভোট এলে সবাই দোয়া নিতে আসে। আর ভোট শেষ হলে কারও দেখা পাওয়া যায়না। আর কখনো দেখা হলে একটা সালাম পর্যন্ত দেয়না। খোঁজ খবরতো দূরে থাক। কথায় বলে পার হলে পাটনি শালা। ভোট শেষ হলে তুমি কে আর আমি কে।
দোয়া নিতে প্রার্থী আর তার সঙ্গীদের দোয়া নিতে আসায় বিব্রত মুরব্বীরা। গ্রামে মাতব্বর ও মসজিদের হুজুরদের আলাদা প্রভাব রয়েছে। তাদের কথা মানুষ শোনে। এরা কার জন্য দোয়া করবেন। আর কাকে ফেরাবেন। এক আসনে সবার ব্যাপারে দোয়া। সমর্থন দিলে একজনকেই দিতে হবে। কাউকে সরাসরিতো না বলা যায়না। আবার বললে প্রার্থী অসন্তুষ্ট হবেন। সেটাও খারাপ দেখায়। তাই সবাইকে দোয়া দেয়া হয়। যার যার কর্মের ফল সেই পাবে।
ভোট ভিক্ষা কি শুধুই মুরব্বী মাতব্বর আর ইমাম ওলামাদের। এর বাইরে যেখানে একটু ভীড় পাচ্ছেন সেখানেই নেমে দোয়া চাইছেন। এমনকি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, আর সুইপার কলোনিতে গিয়ে ভোট চাইছেন। ওদের পেতে দেয়া মাদুর কিংবা টুলে বসছেন। অন্য সময় রুচিতে না কুলালেও। আলাপকালে একজন প্রার্থী বলেন আমরা সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকি। নানাভাবে গণসংযোগ করি। নির্বাচন এলে এটি অন্যরুপ লাভ করে। এসময় মানুষের খুব কাছে যাওয়া যায়। একদম সাধারন ভোটাররা একটু হাসিমাখা ডাক আর কথা শুনতে ভালবাসেন। সব শ্রেণীর মানুষ তথা মুরব্বীদের কাছে পাওয়া আর তাদের দোয়া নেয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।