পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বলেন, সোমবার (আজ) থেকে দেশব্যাপী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। সেনাবাহিনী আমাদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। আমি মনে করি অতীতের সংসদ নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েনের মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সর্বোত্তম ব্যবহার আবশ্যক। এবারের জাতীয় নির্বাচন সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ সমগ্র জাতীর আস্থার সঙ্কট মোচন করেছে।
গতকাল রোববার সকালে সিলেট বিভাগে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। নির্বাচন অর্থ হচ্ছে সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ভোটার যাতে নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, আমরা চাই সিলেট বিভাগে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যে কোন মূল্যে নির্বাচনে ভীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একজন ভোটার যেন নির্বিঘেœ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইচ্ছামত ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, নির্বাচনী দায়িত্ব যারা পালন করবেন তাদের কাছে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনো আশা করি না। আমরা কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে আসিনি। সকল প্রার্থী আমাদের কাছে এক ও অভিন্ন। তাদের প্রতি আচরণে আপনাদের ভূমিকা হবে বিচারকের মত নির্মম। তাই কঠোরভাবে নিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা রাখি। এসময় নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে প্রশাসনিক ও আইনশৃংখলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানান তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে অতিগুরুত্বপূর্ণ পবিত্র আসনে যারা বসবেন, তারা ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে আসবেন এটাই হবে প্রত্যাশা। পেশীশক্তি বা কালো টাকার মাধ্যমে কেউ যেন সেই আসনে বসতে না পারে। আমাদের স্বাধীনতার পূর্বশর্ত যদি হয়ে থাকে গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত হয়ে থাকে নির্বাচন তাহলে এই নির্বাচনকে অবশ্যই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হতে হবে। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস উল্লেখ করে তিনি বলে, এটা বিজয়ের মাস ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শর্ত নিয়ে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা করতে পারবো না তা কখনো হতে পারে না। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা অনেক বড়। তাই আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখার এই নির্বাচনে আমরা অবশ্যই সফল হবো। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি শুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ঋণ শোধ করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।