পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী নৌকার পক্ষে কাজ করতে নিজ উদ্যোগ এবং খরচে কয়েকশ’ প্রবাসী সিলেটে এসে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, আমার বড় দায়িত্ব থাকবে, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা। তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কিভাবে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারি তার প্রচেষ্টা চালানো।
সিলেট-১ আসনের এ প্রার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সরকার ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে যেমন তাদের সম্পৃক্ত করা যাবে, তেমনি প্রবাসীদের অর্জন, তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবো। এ জন্য একটি ইনভেস্টমেন্ট সেলও করা হয়েছে। দেশে ১০০টি ইকোনোমিক জোন করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কর্মসস্থান নিশ্চিত হবে। প্রবাসীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরো স¤প্রসারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে, তিনি প্রবাসীদের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশের সম্পদ। ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষ বিদেশে থাকেন। প্রতি পরিবারে গড়ে ৬ জন মানুষ একজন প্রবাসীর উপর নির্ভর থাকলে ৭ কোটি মানুষকে প্রবাসীদের উপর নির্ভরশীল। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বড় চালিকাশক্তি। কিন্তু এই প্রবাসীদের উন্নয়নে কেউ কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার নগরীর একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে ড. মোমেন সমর্থক ফোরাম যুক্তরাষ্ট্র এর উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি ।
ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্র ফোরামের উদ্যোক্তা রানা ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ইফজাল চৌধুরী এবং শেখ জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রবাসীদের দুর্ভোগ কমাতে প্রবাসী সেল গঠনসহ নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা না থাকার উপর নির্ভর করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে প্রবাসীদের সম্মান যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দেশে তারা বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ পাবে। এজন্য ৩০ তারিখ নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে বলেও তিনি জানান। অন্যথায় সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরিন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ আহমেদ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগ নেত্রী মারিয়াম চৌধুরী মাম্মী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, রাশিদা হক কনিকা, মিসবাহ আহমেদ, মিশিগান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খালেদ আহমদ, আমেরিকা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম, জেসমিন বুখারী, আবু হানিফ, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমিনুল হক রাদু, সুমন আহমদ, সউদি আরব প্রবাসী আব্দুস সালাম, মেহেরুল ইসলাম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।