পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লতিফ সিদ্দিকী।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করে রোববার
বেলা ১২টা দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার
মতো সমতল নয়। মাঠ এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের তলে পড়তে হয়। আর
সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরীহ
লোকদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করছে। যারা সমর্থক তাদেরকে পুলিশ প্রতিনিয়ত
টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এর পরে ইলেকশন করা যায় নাকি?
তিনি আরো বলেন, ইলেকশনটাতো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি।
১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি, আজকে ২০১৮ সাল। এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায়
আমি জীবনেও দেখিনি। আমি আর শাহজাহান সিরাজ ছিলাম দুই প্রতিপক্ষ। কিন্তু
আমাদের মধ্যে এই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটে নাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ ইলেকশন কমিশনারের সঙ্গে
দেখা করেছি। কিছুই চাইনি। আমি কিছু চাওয়ার লোক না। আমি বলে আসলাম, আপনি
যে পরিচালনাটা করছেন, তাতে আপনি ব্যর্থ। এই পরিচালনায় নির্বাচন হতে পারে
না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনতো আর প্রত্যাহারের
সুযোগ নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি নিরীহ মানুষকে আহত, নিহত হবার
সুযোগ কেনো করে দেবো? যারা আহত-নিহত হবে তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি
সেই দায় নেবো না।
আমি এতো বড় বীর পুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি
লড়াই করবো। যার সাথে লড়াই করবো সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি
কেনো যাবো এই ধরণের হানাহানিতে?
তিনি বলেন, আমি তাকে বলে দিয়ে আসলাম আপনি স্বীকার করুন আর না করুন, আপনি ব্যর্থ।
কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, কিছুই বলা
হয়নি। আমিতো তার কাছে শুনতে চাই নাই। আমি বলেছি এক মিনিট আপনার সাথে দেখা
করে চিঠি দিয়ে চলে যাবো।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ওসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।
এখন কি ওসির প্রত্যাহার চান জানতে? চাইলে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এখন আর
কিছুই চাই না। এখন আর সময় আছে নাকি? আমি নিজেকেই মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি।
কার কাছে কি চাইবো? এদেশে চাইলেই কিছু হয় না। ঘটনাক্রমে ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।