Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে বিরাজ করছে ভয়ের পরিস্থিতি

নাগরিক সমাজের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

এখন দেশে ভয়ের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় জনগণকে সাহস যোগাতে হবে। জনগণ সাংবিধান অনুযায়ী দেশের মালিক। জনগণের এই সাংবিধানিক অধিকার ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনিশ্চয়তা, ভয়ভীতি ও সহিংসতার পরিস্থিতি নিয়ে ‘নাগরিক সমাজের পক্ষে আমরা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নাগরিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন।
অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত আমলে দলীয় সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে, তাতে সবগুলোই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, অভিযোগ আছে। বর্তমান সরকারের দাবি, তাদের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এটা এই সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে যেভাবে সরকারের ভূমিকা পালন করা উচিত তা সরকার করছে না, সরকার তার উল্টোটা করছে।
তিনি বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য দল বা জোটের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছে না। গত কয়েক দিনের সংবাদে দেখা গেছে, সরকার দলীয় প্রার্থী ছাড়া আর কোনো দল, জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় যে প্রচার তা তারা চালাতে পারছে না। অনলাইনেও বিরোধী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নানাভাবে হামলার শিকার হচ্ছেন। একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার তৈরি হয়েছে। যে কোনো মানুষ গুম হতে পারে, ক্রসফায়ারে দেওয়া হতে পারে, হামলা-মামলা হতে পারে, নারী-শিশু-ধর্মীয়-নৃতাত্তি¡ক সংখ্যালঘু একের পর এক নির্যাতন যা হয়েছে, তাতে ভয়ের বাংলাদেশ হয়েছে, নিরাপত্তাহীনতার শাসন কায়েম হয়েছে। নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা না করা হলে, একটা দেশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ছদ্মবেশে রাজতান্ত্রিক বা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চলে যাবে। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না।
আনু মুহম্মদ বলেন, গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম এই সকল মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া জারি আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই আইন পাশ হয়েছে। এই আইনের কারণে, পাশাপাশি বিধি-নিষেধ, মৌখিক নির্দেশ-আদেশ এবং হয়রানির কারণে সংবাদমাধ্যমগুলো খুবই ভয়ভীতির মাঝে কাজ করছে তা আমরাও বুঝতে পারি।
আইনজীবী শাহদিন মালিক বলেন, আইনের শাসনের এবং নীতি নৈতিকতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা বোধ থেকেই বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলার মতো কাজ হচ্ছে। আমরা আহŸান জানাই এবং চাপ প্রয়োগ করি যাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই। আমরা কয়েক দিন ধরে জেনেছি, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ একটু দূরেই দাঁড়িয়ে দেখছে। অন্যদিকে এও দেখা যাচ্ছে, সরকারি সমর্থক প্রার্থীরা প্রচারে গেলে শত শত পুলিশ থাকছে, সরকারি গাড়িসহ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এটা করা হচ্ছে। এ রকম একটা অশ্রদ্ধা যদি না থাকত, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতো। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ইসি কেন এগুলো দেখে না?
ইতিহাসবিদ আহমেদ কামাল বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। অথচ জবাবদিহিমূলক স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে যে বিদেশি বিনিয়োগের পয়সা- বা সমর্থন আশা করে এই সরকার এগোতে চাচ্ছে, সেটা ব্যর্থ হবে। সরকার উন্নয়নের কথা বলছে, তবে এই উন্নয়নের ফল কোথায় নেবে-তা জানি না। জবাবদিহি না থাকলে একদিন না একদিন তরুণ-তরুণীদের মুখোমুখি জবাবদিহি দিতে হবে।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, দেশের সংবিধান আমাকে যে অধিকার দেয় তা আদায় করে নেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। তার সঙ্গে আরেকটি জিনিস সেটা হচ্ছে, সাহস জোগানো। এখন দেশে ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে। এটা আমরা সবাই জানি। এই পরিস্থিতিতে আমরা জনগণ যে একা না, তা সবাইকে বোঝানোর প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেই মনে করছে কী হয়, কী হবে, প্রশাসন তাদের হাতে। এত রকমের ক্ষমতা যেখানে সেখানে তারা যা খুশি করতে পারে। তবে জনগণের হাতে যে সবচেয়ে বড় ক্ষমতা তা বোঝানোর দরকার। জবাবদিহি যে একটি প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেকোনো সরকারই থাকুক না কেন সে জানবে, তার ওপর খবরদারি, নজর আছে এবং যা খুশি করে পার পেয়ে যাবে না। এবার ভোট দানের মাধ্যমে জনগণকে তাদের সেই ক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।
নির্বাচনের সময়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে শহীদুল আলম বলেন, আপনারা জানেন আমাদের ছবি তোলা, রিপোর্টিংয়ের ব্যাপারে অনেকগুলো নিষেধাজ্ঞা আছে, সরকারের যদি ভয়ই না থাকে তাহলে নিষেধাজ্ঞা দেবে কেন। সুষ্ঠুভাবে, অবাধভাবে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সকলে রিপোর্ট করবে, ছবি তুলবে। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভয়টি ইঙ্গিত করে। আমাদের জোরালোভাবে দাবি তোলা দরকার সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারি এবং জনগণকে জানানোর সুযোগ থেকে আমি যেন বঞ্চিত না হই।
ইতিহাসবিদ, অর্থনীতিবিদ, আইনজীবী, শিল্পী, শিক্ষকসহ নাগরিক সমাজের ২৯জন প্রতিনিধির পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, স্বাধীনভাবে দেশি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের যথাযথ ভূমিকা পালন করার ব্যবস্থা, হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতা বন্ধ করা, নির্বাচনের সময় ধর্মীয়-সংখ্যালঘু এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সকল প্রকার যোগাযোগে বাধা দেওয়ার বদলে উন্মুক্ত করা। #



 

Show all comments
  • রহিম ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১১ পিএম says : 1
    ত্রবার আওযামীলীগ ক্ষমতায আসলে ঘরে ঘরে চাকুরী না ঘরে ঘরে লাশ পাইবে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:০০ পিএম says : 0
    অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ অনেক কথাই বলেছেন সরকারের বিপক্ষে কিন্তু একটা কথা উনি বার বার চেপে গেছেন সেটা হচ্ছে অপশক্তি… অধ্যাপক সাহেব ভাল ভাবেই জানেন এখন প্রশাসনের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে অপশক্তিকে ঠেকানো আর এই অপশক্তি যে দলেই থাকুকনা কেন সেটা প্রতিহত করতেই হবে। কাজেই সমাজে যারা বিশিষ্টজন হিসাবে পরিচিত তাদের উচিৎ দেশের দিকে তাকিয়ে কথা বলা দলের দিকে তাকিয়ে নয় এটাই হওয়া উচিৎ তাই না?? বিশেষ করে শিক্ষাবিদ্যদেরকে আরো সংযত হয়ে কথা বলা দরকার বলে মনে করি কারন তানাহলে এনারা সামজে সবচেয়ে বেশী নিঃঘৃত হবেন। এনাদের কোন সময়ই পক্ষপাত হওয়া উচিৎ নয় এটাই নিয়ম। আর শিক্ষাবিদরা যদি নিয়ম না মানেন তাহলে তাদের ছাত্রদের কাছ থেকে আমিরা কি আশা করতে পারি এটাই আজকের বড় প্রশ্ন???? এর জবাব কি আমাদের অনু মুহাম্মদ দিতে পারবেন?? নাকি অধ্যাপক এই নাম বিক্রি করে কোন একটা দলের ছত্র ছায়ায় থেকে লাভবান হবেন??? আইনজীবী শাহদিন মালিকের অল্পকথাই এখানে এসেছে যেটা আসা দরকার। আবার ব্যারিস্টার সারা হোসেন যা বলেছেন সেটা অবশ্যই একই কায়দায় আনু মুহাম্মদের মতই প্রশ্নের সম্মুখীন তিনি। তবে ওনার এসব কথা রাজনৈতিক কথা কারন তিনিও রাজনৈতিক ভাবে একটা পক্ষের (পাকিদের দোসর) সাথে জড়িত। কারন এখন বাংলাদেশে দুইটা পক্ষ একটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অপরটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি (পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি)। সারা হোসেন হচ্ছেন পাকিস্তানের পক্ষের লোক সেই হিসাবে ওনাকে দায়ী করা যায়না ওনার মুখ থেক এসব কথাই আসবে এটাই সত্য। আল্লাহ্ মানুষের জন্যেই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। সেজন্যেই আমরা দেখে থাকি কোন একজনের মধ্যেই সবকিছু পাওয়া যায়না ফলে একের প্রতি অপর নির্ভরশীল। আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বলা, সত্য বুঝা, সত্য জান ও সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪১ পিএম says : 0
    আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করি কিন্তু একপর্যায়ে কেহ কেহ বিশেষ একটা বিষয়ের উপর বেশী মেধা খাটিয়ে সেটার উপর বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকি যেমন, ইতিহাসের উপর একক ভাবে গবেষনা করে ইতিহাসবিদ উপাধি পেয়ে থাকি। এখানে কামাল আহমেদ সাহেবকে ইতিহাসবিদ বলা হয়েছে তাহলে স্বভাবত ভাবে আমরা ওনার কাছ থেকে ইতিহাসের উপরই উপদেশ বা নীতির কথা আশা করবো এটাই প্রথা। কিন্তু এই সংবাদে আমরা দেখছি উনি বলছেন দেশের উন্নয়ন নিয়ে ওনার কথাটা সেজন্যেই এখানে ওনার কথাটা অতটা প্রযোজ্য হয়নি। কারন তিনি বলেছে, উন্নয়নের জন্যে এই সরকার বিদেশীদের বিনিয়োগের পয়সা বা সমর্থন আশা করে এই সরকার এগুতে চায় এটা ঠিক নয়। আমাদের দেশ ’৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর একটা ভিক্ষুকের দেশ, তলাবিহিন ঝুড়ির দেশ, দুর্নীতির দেশ হিসাবেই বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছিল। বর্তমান সরকার ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তলাবিহিন ঝুড়ির নাম মুছতে সক্ষম হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রথায় দেশকে ভিক্ষুকের দেশ থকে নাম কাটানোর প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন সেসব প্রকল্প বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আবার ক্ষমতায় এসে বর্তমান সরকার দেশে উন্নয়নের বন্যা বিয়ে দিয়েছে নিজের অর্থে। ইতিহাসবিদের কথা বলার সময় ইতিহাস থাকতে হবে এরপর থাকতে পারে অন্যান্য বিষয় তবে ঐ ইতিহাসের সাথে সামজস্য রেখেই তাঁকে বলতে হবে এটাই চিরা চরিত প্রথা হিসাবে চলে আসছে। কাজেই আমরা এখানে যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে আমাদের ইতিহাসবিদ সাহেব তার নিজস্ব নীতি বিসর্জন দিয়ে কোন একটা দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন নিরপক্ষ সেজে তাই নয়া??? আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আমাদের নিজ গণ্ডিতে থেকে সেই ভাবে বলার ও চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫১ পিএম says : 0
    এই সংবাদে সদ্য-কারামুক্ত আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত অলোকচিত্রী শহীদুল আলাম কিছু কথা বলেছেন, তিনি ইতি পূর্বে যেভাবে কথা বলতেন এবার অনেক সহনশীল ভাবেই কথা বলেছেন এবং ওনার কথা এখানে গ্রহণ যোগ্য বটে। তিনি চিহ্নিত সরকার বিরোধী লোক সেই হিসাবে তিনি এসব কথা বলতেই পারেন তাও যদি আবার যুক্তি সম্পন্ন কথা হয়। এখনেও আমি একটা কথাই বলবো সেটা হচ্ছে তিনি নিজেকে এখানে দেখাতে চেয়েছেন তিনি একজন সচেতন নাগরিক। কিন্তু আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে একটা নীতির উপর সেটা কি এটা প্রথমেই একজন নাগরিককে জানতে হবে। তিনি হয়ত বলতে পারেন আজ ৫০ বছর হতে চলছে দেশ স্বাধীন হয়েছে এখন কেন এসব কথা আসছে??? এসব কথা আসে কারন আমাদের দেশ স্বাধীন হবার সাথে সাথে দেশের যে পরিবর্তন হবার কথা ছিল সেটা হয়নি বা সেটা করার সুযোগ পাওয়া যায়নি, যেভাবেই বলিনা কেন সেসব পরিবর্তন তখন না হয়ে এখন হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে। সেজন্যেই কথাটা আসছে কারন আমাদের দেশে অবস্থানরত পাকিদের দোসদের পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা এই পরিবর্তনকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এখন আমরা জানি তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবী কাজেই এখন তিনি এই প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে কথা বললে সেটা ওনার পক্ষপাতিত্ব প্রমাণ করবে। কিন্তু একজন বুদ্ধিজীবীকে পক্ষপাতিত্ব হলে চলবে না। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে বাংলা ভাষা, বাঙালী জাতীয়তা বোধ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার উপর ভিত্তিকরে। এরপর দেশের নামকরন করা হয় নীতির উপর ভিত্তি করে, বাংলা + দেশ (মানে ভাষা + দেশ) = বাংলাদেশ। এখন এই নীতিকে অর্থাৎ বাংলা ও বাঙালী নীতিকে বিসর্জন দিয়ে নতুন করে ’৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর পাকিদের দোসদের পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়া হয় আর সেটাই যখন এই আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত বুদ্ধিজীবী অলোকচিত্রী শহীদুল আলাম সমর্থন দেন তখন তাঁকে নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি???? আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সঠিক পথে থেকে সঠিক ভাবে কাজ করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ