পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তরুণ ভোটারদের ভোট দিতে এক আবেগময় ভিডিওবার্তা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তিনি নির্দিষ্ট কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাননি। বলেছেন, আপনার বিবেচনায় যাকে বলে, তাকেই ভোট দেবেন। কিন্তু অবশ্যই ভোট দেবেন। নিজের যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথাও তুলে ধরেন ফখরুল। কিভাবে নিজের বিবেকের কথা শুনে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, জয়লাভ হয়েছিল সেই কথাও তুলে ধরেছেন। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারই বাংলাদেশ। দেখিয়ে দিন, ইউ ম্যাটার।
ভিডিও বার্তাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আপনার যারা এবারই প্রথম ভোট দেবেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি কিছু বলতে চাই। আমার বয়স যখন আপনাদের মতো, তখন আমরা একটি যুদ্ধে গিয়েছিলাম, দেশটাকে মুক্ত করবো বলে। তখন আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ ছিলো, যারা বলতো যে, পাঞ্জাবিদের সঙ্গে যুদ্ধে আমরা কোনদিনও পারবো না। মেরে কেটে ওরা শেষ করে দেবে। ওদের ট্রেইন্ড মিলিটারির বিপরীতে আমরা হলাম বাচ্চা ছেলে। তারা আসলে ভয় পেতো। যুদ্ধে পার্টিসিপেন্ট না করার অনুতাপে কাতর ছিলো তারা। আমরা সেদিন তাদের কথা শুনিনি। বড় বড় পাকা পাকা বিশ্লেষণে কান দেইনি। আমরা শুধু আমাদের মনের কথাটা শুনেছিলাম। শুধু একটা স্বপ্নকে তাড়া করেছিলাম। দেশটা মুক্ত হবার। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমার বয়স এখন সত্তর। আমি এই বয়সেও সেই একই স্বপ্ন তাড়া করছি। আমি তো আশায় ভরপুর। আপনারা কি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছেন? আমাকে বহু মানুষ বলে, ভোটে তো স্যার আপনারাই জিতবেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ আপনাদের রেজাল্ট খেয়ে ফেলবে। তার কারণ হলো, আওয়ামী লীগের সমীকরণে আপনারা নেই। তারা আপনাদের তাচ্ছিল্য করে। টু দেম, উই ডোন্ট ম্যাটার।
তাদের পরিকল্পনা এমন সন্ত্রাস করো ২৯ তারিখ পর্যন্ত, যাতে আপনারা পোলিং সেন্টারে যাওয়ার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলেন। এমন এক ন্যারেটিভ তারা বাংলাদেশে দাঁড় করিয়েছে যে, আপনি যাকেই ভোট দেন, আপনার রাজনৈতিক জাজমেন্ট যাইহোক না কেন, সেই ভোটকে, আপনার বিশ্বাসকে তারা চুরি করে পাল্টে দেবে।
আমি বলি কি, আপনারা ওদের দেখিয়ে দেন যে, আপনারাই বাংলাদেশ। দেখিয়ে দিন, যে ইউ ম্যাটার। আপনারা এই দেশের মালিক এবং আপনার ভোটেই ঠিক হবে এদেশের ভবিষ্যত। আপনার বিবেচনায় যাকে বলে, তাকেই ভোট দিন। আমি সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ভোট আপনারা অবশ্যই দেবেন। সকাল সকাল দেবেন। দেখিয়ে দিন যে, আপনারাই বাংলাদেশ।
যৌবনে এই দেশটার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। বার্ধক্যে এসে আপনাদের কাছে আমি শুধু একটা দিন চাইছি। ৩০ ডিসেম্বর। শুধু একটা দিন। বাংলাদেশের জন্য। ৩০ ডিসেম্বর, সকাল সকাল ভোট দিন। দেখিয়ে দিন আপনারা শুধু ভোট দিতেই জানেন না, ভোট ডাকাতি আটকাতেও পারেন। গণতন্ত্রটা বাঁচাতে হবে।
একটা আলো আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম আমাদের যৌবনে। যেটা আমরা আপনাদেরকে দিতে চাই। এ আলোটা আপনারা শুধু আপনাদের সন্তানদের কাছে পৌঁছে দেবেন। তাহলেই হবে। আলোটাকে নিভতে দেবেন না।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।